নয়া দিল্লি : ভারতের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস (Liz Truss)। তুলে ধরলেন ব্রিটেনের অর্থনীতিতে ভারতের ভূমিকার কথাও। সে দেশে ভারত যে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ, সেকথাও উল্লেখ করতে ভুললেন না লিজ ট্রাস (Liz Truss)।
বিশ্ব মাত্রচিত্রে ভারত অন্যতম শক্তিধর দেশ। যে কোনও ইস্যুতে ভারতের মতামত অনেক গুরুত্ব বহন করে। সেকথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল লিজ ট্রাসের (Liz Truss) গলায়। শুক্রবার তিনি নয়া দিল্লিতে আয়োজিত এক আলোচনা চক্রে বললেন, “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের আওয়াজ।”
লিজের গলায় উঠে এল তাঁর প্রথম ভারত ভ্রমণের কথাও। প্রথম তিনি মুম্বই এসেছিলেন। বাণিজ্যনগরীতে তিনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “পশ্চিম ইউরোপে আমরা ভারতকে ঈর্ষা করি।” তাঁর মতে, “স্বাধীন বিশ্ব আজ বিপদে। “
এরকম একটা মঞ্চে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় উঠে এল রাশিয়া ও ইউক্রেনের কথা। ট্রাস বললেন, বাস্তব কথা হল, আমরা পশ্চিমের দেশগুলি আত্মতুষ্টিতে ভুগছি। ঠান্ডা যুদ্ধ শেষে, আমরা ভেবেছিলাম ইতিহাসে বোধ হয় যুদ্ধের পাঠ শেষ হল। স্বাধীনতা পেয়ে গেছি বলে ধরে নিলে হবে না।”
তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চিনের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাস। তিনি বলেন, “আমরা জানি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তিনি এক চিন তৈরি করতে চান। তিনি চান, তাইওয়ানকে চিনের অধীনে নিয়ে আসতে। আমরা মনে হয়, সেটা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। “
কিন্তু, পশ্চিমের দেশগুলোও কি এক সুরে কথা বলবে বা তাদের বিশ্বাস করা যায়? এই প্রশ্নের উত্তরে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মত, “এই জায়গাতেই ভারত বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারে। আমার মনে হয় না, ভারতের কাউকে অনুসরণ করার দরকার আছে, বরঞ্চ নেতৃত্ব দেওয়ার জায়গায় আছে। আপনারা দেশের বৃহত্তম গণতন্ত্র। অর্থনীতি এবং জনসংখ্যার দিকে বিশ্বের সবথেকে বড় দেশ।”
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী লিজ ট্রাস। তিনি ব্রিটেনের সবথেকে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী। মাত্র ৪৫ দিন ছিলেন কুর্শিতে। ঋষি সুনককে হারিয়ে বরিস জনসনের জায়গায় বসেন তিনি। নিজের মৃত্যুর দুই দিন আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ট্রাসকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেছিলেন। গত বছর অক্টোবরে অবশ্য তিনি ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য ট্রাসকেই প্রার্থী নির্বাচিত করেছে সাউথ ওয়েস্ট নরফোক কনসারভেটিভ অ্যাসোসিয়েশন।