Homeপশ্চিমবঙ্গVidhan Sabha: কে চোর, সেনিয়ে বিধানসভা চত্বরে বিজেপি বনাম তৃণমূলে বাগযুদ্ধ

Vidhan Sabha: কে চোর, সেনিয়ে বিধানসভা চত্বরে বিজেপি বনাম তৃণমূলে বাগযুদ্ধ

- Advertisement -

নিজস্ব সংবাদদাতা

চোর চোর চোর। পালটা অন্যরাও শুরু করলেন চোর চোর চোর। এই চোর চোর স্লোগানকে কেন্দ্র করেই বুধবার বিকালবেলা মুখর হয়ে রইল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা (Vidhan Sabha) চত্বর। একদিকে শাসক দল তৃণমূল। অন্যদিকে বিরোধীদল বিজেপি। মাঝে শুথু বিধানসভা ভবনের চারটি থাম। দু’পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্যে করে চোর চোর স্লোগান দিল। গলাবাজি করল। আবার দিনের শেষে দুই পক্ষই যে যাঁর নিজের মতো করে বাড়ি চলে গেল। কিন্তু কে আসল চোর সেটা স্পষ্ট হল না।

আসলে এদিন অমিত শাহর সভাকে কিছুটা ফিকে করে দিতে পুরো তৃণমূল দলটাকেই মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মতোই এদিন ‘কালা দিবস’ পালন করতে তৃণমূলের সব বিধায়করা সকাল সকাল কালো কাপড় গায়ে দিয়ে বিধানসভায় (Vidhan Sabha) হাজির হন। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন কালো পাড়ের সাদা শাড়ি, কাঁধে কালো শাল দিয়ে বিধানসভায় হাজির হন।

তৃণমূলের রণকৌশল ছিল, বিজেপি ধর্মতলায় সভা করবে আর তৃণমূল বিধানসভা চত্বরের আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে কালো কাপড়ে বসে ‘কালা দিবস’ পালন করবে। এতে নেতৃত্ব দিতে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল বিধায়কদের মাঝে হাজির হয়ে যান। কিন্তু তাল কাটে যখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ধর্মতলার সভা শেষ করেই বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে বিধানসভায় হাজির হন। এবং কালো কাপড়ে তৃণমূল বিধায়কদের ‘কালা দিবস’ পালন করতে দেখে মমতার মুখের ওপরেই চোর চোর স্লোগান দেন। এরপর তৃণমূল বিধায়করাও পালটা বিজেপি নেতাদের চোর চোর বলে আক্রমণ করতে শুরু করেন। দু’পক্ষের একই ভাবে চোর চোর স্লোগানের ফলে বিধানসভা (Vidhan Sabha) চত্বরে কানপাতা দায় হয়ে যায়।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রণকৌশলের দিক দিয়ে এদিন ফের শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাত দিয়ে দেন। কেননা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে অমিত শাহর ধর্মতলার সভার পালটা হিসেবে ১০০ দিনের বকেয়া টাকার দাবিকে সামনে রেখে বিধানসভা চত্বরে মিডিয়ার নজর কাড়তে চেয়েছিলেন, সেটা এদিন প্রায় ব্যর্থ করে দেন শুভেন্দু অধিকারী। বরং তার বদলে শুভেন্দু অধিকারীর ভাঙা গলায় চোর চোর চিৎকারই মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দু অধিকারীর আচমকা এমন আক্রমণের মুখে পড়ে মাথানীচু করে চুপ মোবাইল ঘাটতে দেখা যায়। পরে যদিও এনিয়ে তিনি পালটা জবাবে বলেন, যারা এমন অসভ্যতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেজন্য তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষকে আবেদন জানাবেন। তাঁর এই ইঙ্গিত যে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কদেরকে লক্ষ্য করে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীকে একদিন আগেই পুরো শীতাকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং মমতার এদিনের এই হুঁশিয়ারি কার্যত জলেই গিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -