মঙ্গলবার, নভেম্বর 19, 2024
মঙ্গলবার, নভেম্বর 19, 2024
HomeরাজনীতিShubhendu Adhikari: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান নি আমি দিল্লিতে বেশি পরিচিতি পাই,’’ -...

Shubhendu Adhikari: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান নি আমি দিল্লিতে বেশি পরিচিতি পাই,’’ – শুভেন্দু অধিকারী

- Advertisement -

বহরমপুর – তৃণমূলে থাকতে তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছিল, কিভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দিল্লি থেকে ডেকে নেন – সেসব কথা নতুন করে ফাঁস করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে সভা করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাননি তিনি কখনও জাতীয় স্তরে পরিচিতি পান। দিল্লির রাজনৈতিক মহলে পরিচিতি বাড়ুক। সে কারণে তড়িঘড়ি ডেকেও পাঠানো হয়েছিল। নিজের এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘অতীত কখনও ভুল হতে পারে না। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় বলেন, রাজ্যে চলে আসতে হবে। কারণ, দিল্লিতে আমার পরিচিতি বাড়ছিল। উনি তো নিজের ছাড়া অন্য কারও পরিচিতি পছন্দ করেন না। এখন অবশ্য ভাইপোকে পছন্দ করেন, উত্তরসূরি।’’

এ কথা বলার পরেই শুভেন্দু সেই সময়ের ‘ইতিহাস’-এর কথা তুলে ধরেন। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মালদহে ছিলাম। সেখানে সভা শেষের পর হেলিকপ্টারে করে সাগরদিঘিতে এসেছিলাম। সেখানে সুব্রত সাহার সমর্থনে সভা ছিল। বেলা তখন ১২টা। এপ্রিল মাস। প্রচণ্ড রোদ। সেই সভায় সুব্রত সাহা মমতাকে বলছিলেন, ‘দিদি, আপনার আত্মীয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় হারানোর চেষ্টা করছেন। কিছু একটা করুন।’’’ এর পরে কী কী হয়েছিল তা জানাতে গিয়ে শুভেন্দুর সংযোজন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় ডেকে বললেন, ‘সুব্রত চাইছে দেবাশিসকে দল থেকে বহিষ্কার করতে। আমি বলতে পারব না। আমাদের আত্মীয় হয়। তোমাকেই কাজটা করতে হবে।’ আমি মাইকটা নিলাম। বললাম, ছ’বছরের জন্য দেবাশিসকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হল।’’

প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে সাগরদিঘিতে টানা তিন বারের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত সাহা। গত ২৯ ডিসেম্বর তিনি প্রয়াত হন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন। সেখানে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে স্থানীয় নেতা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি তৃণমূল নেত্রীর আত্মীয় হন। মমতার মা প্রয়াত গায়ত্রীদেবী দেবাশিসের বাবা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিসতুতো দিদি। ভোটের মুখে তৃণমূলের অন্দরের ‘দ্বন্দ্ব’-এর কথা সর্বসমক্ষে ‘ফাঁস’ করে শুভেন্দু নির্বাচনী চাল চাললেন বলেই মনে করছে শাসকদলের স্থানীয় নেতারা।

তবে তাঁরা সেটাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের এক নেতার কথায়, ‘‘এ সব অতীত বলে কোনও লাভ নেই। মানুষ বর্তমানকেই দেখেন।’’ শুভেন্দুর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে পাল্টা মুখ খুলেছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘ওঁর থেকে বড় গদ্দার ভূ-ভারতে নেই। তাই ওঁর কাছ থেকে নীতিবাক্য শুনব না। মানুষ ঠিক করে নিয়েছে, এ বার তৃণমূলই জিতবে।’’

আরও খবর
- Advertisment -

সবাই যা পড়ছেন

পছন্দের খবর