HomeUncategorizedOnline Income 2023: ভুল পরামর্শ এড়িয়ে অনলাইনে টাকা ইনকামের সঠিক উপায়

Online Income 2023: ভুল পরামর্শ এড়িয়ে অনলাইনে টাকা ইনকামের সঠিক উপায়

- Advertisement -

আজকাল অনলাইনের (Online) যুগ। এই যুগে বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য নতুন দরজা খুলে দিয়েছে ইন্টারনেট (Internet)। এখন ইন্টারনেটে কাজ করে (Online Income) অনেকে ঘরে বসেই যা আয় করেন তা একজন সাধারণ চাকুরিজীবী কিংবা ব্যবসায়ীর কাছেও চোখ ধাধানো ব্যাপার হতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অনলাইনে কাজ শুরু করলেই লাখ লাখ টাকা আয় হয়ে যাবে। এরজন্য জন্য প্রয়োজন অধ্যাবসায়, প্রকৃত জ্ঞাণ, পেশাদারি মনোভাব। মনে রাখবে, অন্যসব জায়গার মতোই অনলাইনে প্রতিযোগিতা রয়েছে। এবং এই প্রতিযোগিতা অন্য ক্ষেত্রগুলির তুলনায় একটু বড্ড বেশিই বলতে হবে। সুতরাং কোনও কাজ করতে পারছি না বলে অনলাইনে নাম লিখিয়ে ফেললাম আর লাখ লাখ টাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম – এমনটা ভাবলে কিন্তু আপনাকে কিছুদিন পর পস্তাতে হবে। বরং আপনি অনলাইনে কাজ করতে ভালোবাসেন, নিজের যা দুর্বলতা আছে সেগুলিকে ঘঁষে-মেজে নতুন রূপ দিতে ভালোবাসেন – তাহলে এই অনলাইন আপনার জন্য সঠিক ঠিকানা হতে পারে।

অনলাইন আসলে অনেকটা ফ্যাশনের মতো ব্যাপার। যা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, মানুষের পছন্দ-অপছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাগাতার পালটাতে থাকে। সেই মতো আপনাকেও লাগাতার পালটাতে থাকতে হবে। তালে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আপনার জ্ঞাণের পরিধি লাগাতার বাড়াতে হবে। এসবের জন্য যদি আপনি তৈরি থাকেন তাহলে আসুন দেরি না করে নেমে পড়ুন অনলাইনের সমুদ্রে।

তবে এই সমুদ্রে শুধু ভেসে বেড়ালেই তো আর চলবে না – একটা নির্দিষ্ট পথে, নির্দিষ্ট দিকে যেতে হবে। সেটা কি? সেটাই আপনাকে সবার আগে ঠিক করতে হবে। তবে অনলাইনে রোজগারের জন্য যে প্ল্যাটফর্মগুলি রয়েছে সেগুলির চর্চা সবার আগে প্রয়োজন। আর সে বিষয়গুলি আলোচনার জন্যই আজকের এই পর্ব। সবার শুরুতে দেখে নেওয়া যাক অনলাইনে পয়সা কামানোর কি কি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে –

১। কনটেন্ট ক্রিয়েটর (Content Creator)

অনলাইনে (Online Income) পয়সা রোজগার করতে আপনি নিজেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। মানুষের পছন্দের বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে ভিডিও বানিয়ে সেগুলি ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রামের মতো যে সব জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেগুলিতে নিজের অ্যাকাউন্ট বানিয়ে আপলোড করতে পারেন। তারপর আপনার কনটেন্টগুলি মনিটাইজ হয়ে গেলে সেগুলি থেকে টাকা আসতে শুরু করবে। কনটেন্ট ক্রিয়েট করা কোনও হেলা-ফেলার কাজ নয় কিন্তু। ভাববেন না এটা কোনও বা হাতের কাজ। আপনি যা ইচ্ছে বানিয়ে সেটা আপলোড করে দিতেই পারেন। কিন্তু দর্শকদের সেটা পছন্দ না হলে আপনার ইনকাম কিন্তু কিছুই হবে না। তাছাড়া, এই লাইনে রয়েছে মারমার কাটকাট প্রতিযোগিতা। সুতরাং ব্যাপারটা কিন্তু শুনতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে ততটা নয়। আবার এতটাও কঠিন নয় যে আপনি পারবেন না। আপনি অবশ্যই পারবেন।

২। কনটেন্ট রাইটার (Content Writer)

কনটেন্ট রাইটার হিসেবেও আপনি অনলাইনে (Online Income) কাজ করতে পারেন। এখন অনেক ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট আলাদা করে কনটেন্ট রাখে। সেজন্য তারা ভালো পয়সাও দেয়। আপনি যদি ভালো মৌলিক কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে এই কাজটি আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। যে কোনও ভাষাতেই এটা করা যায়। তবে বিষয়টি সম্পর্কে সম্যাক ধারনা না থাকলে কাজ শুরু করার আগে জেনে নেওয়া ভালো। আমার মনে হল আমি লিখতে পারি, সুতরাং হয়ে গেলাম কনটেন্ট রাইটার। এমনটা করলে কিন্তু হবে না। সবার আগে জানতে হবে কেমন কনটেন্টের অনলাইনে ডিমান্ড রয়েছে। কোন ইউটিউবার কিংবা ওয়েবসাইট কেমন কনটেন্ট চাইছে সেটা জেনে নিয়েই কাজে ঝাপান। না হলে দু’চার জায়গা থেকে কনটেন্ট বাতিল হলেই মনে হবে আমাকে দিয়ে এসব হয়তো হবে না। তারপরই আপনি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন। সুতরাং সবার আগে বুঝে নিন, মক্কেল কী চাইছে।

৩। ফ্রিল্যান্সিং করা (Freelancing)

অনলাইনে আয়ের (Online Income) ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়।
কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় এসব সাইট থেকে। মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করার পর কাজদাতার অনুমোদন পেলেই তবেই অর্থ ছাড় দেবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে কাজের মানের ওপর কাজদাতা রেটিং দিতে পারেন। গ্রাহকের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে দিতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ আনা যায়।

৪। পিটিসি (PTC)

অনেক ওয়েবসাইট আছে, যাতে রাখা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনাকে অর্থ দেওয়া হবে। এ ধরনের সাইটকে পিটিসি সাইট বলে। প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে পিটিসি সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয়। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কি না। অনেক সময় বন্ধুতে রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।

৫। ওয়েব ডিজাইন (Online Web Design)

এখনকার অনলাইনের কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক। কোনো প্রজেক্টে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সহজে আয় করা যায়। সব ব্যবসায়ী প্রযুক্তিপ্রেমী নন। নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে তাঁদের ওয়েব ডিজাইনারের দরকার পড়ে। যাঁরা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওয়েবসাইট ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদের জন্যও ওয়েব ডিজাইনারকে দরকার পড়ে। ফলে ডিজাইনারকে বসে থাকতে হয় না। ক্লায়েন্ট ও কাজের ওপর ভিত্তি করে ওয়েব ডিজাইনারের আয় বাড়তে থাকে।

৬। ওয়েবসাইট (Website)

এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরির জন্য অনলাইনেই অনেক উপাদান পাওয়া যায়। এর মধ্যে ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট তৈরির নকশা প্রভৃতি। যখন পাঠক বা দর্শককে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি সারা, তখন গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগলের বিজ্ঞাপন যখন সাইটে দেখানো শুরু হবে এবং তাতে ক্লিক পড়বে, তখন আয় আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বা দর্শক যত বেশি হবে, আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে।

৭। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)


এই পদ্ধতিতে আয়ের ক্ষেত্রেও নিজের ওয়েবপেজ বা ব্লগ প্রয়োজন। যখন ওয়েবসাইট বা ব্লগ চালু হবে, তখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিংক তাতে যুক্ত করতে পারবেন। যখন আপনার সাইট থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা কোনো দর্শক কিনবেন, তখনই আপনার আয় আসতে শুরু করবে।

৮। গ্রাফিকস ডিজাইন (Graphix Design)

অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিকস ডিজাইন ভালো উপায়। যাঁরা এই কাজে দক্ষ, তাঁরা বিভিন্ন ডিজাইন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাঁদের আয় আসে। তাঁদের তৈরি একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও গ্রাফিকস ডিজাইনারদের অনেক চাহিদা রয়েছে।

৯। জরিপ, সার্চ ও রিভিউ (Online Review & Research)


অনলাইন জরিপে অংশ নিয়ে অর্থ আয় করতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট জরিপে অংশ নিলে অর্থ দেয়। এ ছাড়া অনলাইন সার্চ ও পণ্যের পর্যালোচনা লিখে আয় করতে পারেন। তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড বা ব্যাংকিং তথ্য দেওয়া লাগতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে কাজ করার সময় সতর্কভাবে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে কাজের সময় কোনটি প্রকৃত কাজ আর কোনটি স্ক্যাম—যাচাই-বাছাই করে নিয়ে কাজ করতে পারেন।

১০। ভার্চ্যুয়াল সহকারী (Virtual Helper)


এখন ভার্চ্যুয়াল সহকারীদের কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে। ঘণ্টাপ্রতি আয়ও বেশি। বাড়ি থেকে করপোরেট অফিসের নানা কাজ অনলাইনে করে দেওয়ার সুবিধা আছে এখন। ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মী বা নিজের ব্যবসা নিজেই চালানো যায়। বিভিন্ন দক্ষতার ভিত্তিতে ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ফোন কল, ই-মেইল যোগাযোগ, ইন্টারনাল রিসার্চ, ডেটা এন্ট্রি, এডিটিং, রাইটিং, ব্লগ, গ্রাফিকস, টেক সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার মতো কাজ থাকে। ২৪ / ৭ ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাচ, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার, আপওয়ার্কের মতো সাইটগুলোতে কাজ পাওয়া যায়।

১১। অনুবাদক (Translator)


ইংরেজির পাশাপাশি অন্য কোনো ভাষা ভালোভাবে জানা থাকলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে বিভিন্ন ডকুমেন্ট অনুবাদ করে আয় করতে পারেন। যাঁদের স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি, জার্মানসহ অন্যান্য ভাষা জানা আছে এবং এগুলো থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ বা ইংরেজি থেকে এসব ভাষায় অনুবাদ করতে পারলে ভালো আয় করতে পারবেন। অনেক সময় কাজদাতারা নিজে সময়ের অভাবে অনুবাদের কাজ ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে এ ধরনের কাজ পাবেন।

১২। অনলাইন টিউটর (Online Tutor)


কোনো বিষয়ে যদি আপনার পারদর্শিতা থাকে, তবে অনলাইনে সে বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারেন। অনলাইন টিউটরদের এখন চাহিদা বাড়ছে। সব বয়সী শিক্ষার্থীদের আপনি শিক্ষা দিতে পারবেন। এখানে অন্য দেশের শিক্ষার্থীদেরও পড়ানোর সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইন টিউশনির সুযোগ রয়েছে। সেখানে সুবিধামতো সময়ে পড়াতে পারেন ছাত্র। এসব সাইটে নিজের দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়। একবার নির্বাচিত হয়ে গেলে ওয়েবিনার পরিচালক হিসেবে অনলাইন সেশন পরিচালনা করতে পারেন। দক্ষতা বাড়লে এ ক্ষেত্র থেকে অনেক আয় করার সুযোগ আছে।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -