হায়দরাবাদ: একদিন আগে মর্যাদা রক্ষার ম্য়াচে হেরে একডজন হার সম্পূর্ণ করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে খালি হাতেই মাঠ ছাড়ল এটিকে মোহনবাগান। চাপ আরও বাড়ল সন্দেহ নেই। গত কয়েক ম্যাচ ধরেই এমন পরিস্থিতি চলছিল। সঙ্গে চোট আঘাতও চাপে রেখেছিল এটিকে মোহনবাগানকে। পয়েন্ট টেবলে দ্বিতীয় স্থানে ওঠার কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে প্লে অফে কঠিন বাধার সামনেই পড়তে হচ্ছে এটিকে মোহনবাগানকে। তার আগে টিমের পারফরম্যান্সে হতাশ সবুজ-মেরুন সমর্থকরাও। মোহনবাগান ক্লাব চেয়েছিল টিম ম্য়ানেজমেন্টের সঙ্গে কথাও বলতে। হায়দরাবাদ ম্যাচ জিতে নিজেদের প্লে অফের রাস্তা পরিষ্কার করে রাখাই লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্য় পূরণ হল না। ৮৫ মিনিট অবধিও গোলশূন্য় ছিল ম্য়াচ। জয় না আসুক, অন্তত এক পয়েন্ট মাঠ ছাড়তে পারবে, এমনটাই প্রত্য়াশা ছিল। একরাশ শূন্যতা নিয়েই মাঠ ছাড়ল এটিকে মোহনবাগান।
গোলের দেখা নাই। এটিকে মোহনবাগান বনাম হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে প্রথমার্ধে এমনই হল। হায়দরাবাদ এফসি এর আগের দুটো ম্যাচের একটি হার ও আর একটি ড্র। পয়েন্ট টেবলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল হায়দরাবাদ ঘুরে দাঁড়াল। একই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে ব্য়র্থ পয়েন্ট টেবলে প্রথম চারে থাকা এটিকে মোহনবাগান। অনেক বেশি চাপে ছিল কলকাতার দল। হায়দরাবাদ এফসির প্লে-অফ নিশ্চিত। হায়দরাবাদে হেরে চাপ বাড়ল এটিকে মোহনবাগানের। দলের উপরই শুধু নয়, চাপ বাড়ছে কোচ হুয়ান ফেরান্দোরও। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধেও হতাশা জনক ফল। গোল করার লোক খুঁজে পাচ্ছে না এটিকে মোহনবাগানে। একঝাঁক সুযোগ তৈরি হলেও তার ফল পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগে গোল খেয়ে রাস্তা কঠিন করল সবুজ মেরুন।
প্রথমার্ধে বেশ কিছু রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি তৈরি হল। তবে গোলকিপারদের খুব বেশি কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হল না। যাবতীয় আক্রমণ তার আগেই থেমে যাচ্ছিল। হায়দরাবাদ এফসির মহম্মদ ইয়াসির দারুণ একটা সুযোগ পেলেও সবুজ মেরুন শিবিরকে চাপে পড়তে দেননি বিশাল কাইথ। তার আগে দিমিত্রি পেত্রাতোস এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেলেও ব্য়র্থ। এটিকে মোহনবাগানের সেরা সুযোগ তৈরি হয় ম্যাচের ২৯ মিনিটে। মনবীর সিং আক্রমণে উঠলেও গোলে শট রাখতে পারেননি। বিশাল কাইথ প্রশংসনীয় একটি সেভ করেন। ম্যাচের শেষ মহূর্ত অবধি চাপ তৈরি করে গেল হায়দরাবাদ। নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগে হায়দরাবাদের জয়সূচক গোলটি করেন ওগবেচে।