HomeখবরMamata Banerjee: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় মমতার দশা রাহুলের মতই হবে না...

Mamata Banerjee: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় মমতার দশা রাহুলের মতই হবে না তো?

- Advertisement -

নয়াদিল্লি: দিন কয়েক আগে নিজের সাংসদপদ খুঁইয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কারণ আর কিছুই নয়, ‘মোদী’ অবমাননা মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সব্যস্ত করে ২ বছরের সাজা শুনিয়েছিল গুজরাতের এক নিম্ন আদালত। এবার সেই রকমই কিছু একটা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও হবে না তো? বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে অনেকের মনে এই প্রশ্নটা উঠছে কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলা।

বুধবার এই জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় বড় ধাক্কা খেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি অমিত বোরকরের সিঙ্গল বেঞ্চ এই জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। নিম্ন আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি অনেক আশা নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তাতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয় নি বম্বে হাই কোর্ট। আর এখানেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।

ঠিক কী ঘটেছিল?

২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের কাফে প্যারেডে যশবন্তরাও চহ্বাণ প্রেক্ষাগৃহে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। কর্মসূচির শেষে চেয়ারে বসেই তিনি জাতীয় সঙ্গীতে গলা মিলিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকি, জাতীয় সঙ্গীত না গেয়েই হঠাৎ জাতীয় সঙ্গীত থামিয়ে দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান বলে মুম্বইয়ের বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্ত অভিযোগ তোলেন।

এর পর বিবেকানন্দ বিষয়টি নিয়ে কাফে প্যারেড থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় মু্ম্বইয়ের মাঝগাঁও নগর দায়রা আদালতে অভিযোগ করেন তিনি। মমতাকে সমনও পাঠায় ওই আদালত। ২০২২ সালের ২ মার্চ মমতাকে আদালতে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়।

কিন্তু সেই সমনের ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’র কথা জানিয়ে নতুন করে এফআইআর দায়েরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। নিম্ন আদালতের সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন মমতা।

মমতার যুক্তি কী

বম্বে হাই কোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর আবেদনে জানিয়ে ছিলেন, ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’র কারণে নিম্ন আদালতের সমন খারিজের পরিবর্তে সমগ্র অভিযোগটিই খারিজ করে দেওয়া উচিত।

কিন্তু বিচারপতি বোরকর জানান, নগর দায়রা আদালতের রায়ে ত্রুটি ছিল। এতে বম্বে হাই কোর্টের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই।

আশঙ্কাটা আসলে কী?

রাহুল গান্ধী ‘মোদী’ অবমাননা মামলায় সাংসদপদ খুঁইয়েছেন জনপ্রতিনিধি আইনে। এই আইন অনুযায়ী কোনও জনপ্রতিনিধির ২ বছর সাজা হলেই তিনি তাঁর ভোটে জিতে আসা পদটি খোয়াবেন। ভারতের জাতীয় সম্মান রক্ষা আইন ১৯৭১ বলছে, কেউ যদি জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননায় দোষী সব্যস্ত হন তাহলে সর্বাধিক ৩ বছরের সাজা কিংবা আর্থিক জরিমান অথবা দুটোই হতে পারে।

আর এখানেই রয়েছে আসল খেলা। তর্কের স্বার্থে যদি ধরে নেওয়া হয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও আদালত এই জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় দোষী সব্যস্ত করে ২ বছর সাজা শুনিয়ে দিল – তাহলে কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর পরিস্থিতি অনেকটা রাহুল গান্ধীর মতোই হতে পারে। জনপ্রতিনিধি আইনের দায়ে পড়ে তিনিও তাঁর বিধায়ক পদটি খোয়াতে পারেন।

মন্দের ভাল

যদিও রাহুল গান্ধীর মতো সত্যিই মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় সেই রকম বিপাকে পড়বেন কি না, তা সময়েই বলবে। তাছাড়া, লোকসভার অধ্যক্ষকে ক্ষমতাসীন দলের কথাতে চলতে হয়। আর সেই কারণেই হয়তো কংগ্রেসীরা দাবি করেন, রাহুল গান্ধীর সাংসদ খোয়ানোর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে।

কিন্তু উলটো দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক পদে কোনও ধরনের আঁচ পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটা বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে বিচার্য বিষয় হবে। সেক্ষেত্রে বিধানসভা যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দখলে সুতরাং সেই রকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে অধ্যক্ষ নিশ্চয় বাঁচানোর চেষ্টা করবেন।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -