বহরমপুর: সাগরদিঘির প্রচারে গিয়ে ঘুরে-ফিরে সেই ‘শুভেন্দু জুজু’ দেখালেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi Byelection) জিততে কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিএম মিলে আতাঁত করেছে। আর এই আতাঁতের কান্ডারি হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেক ব্যানার্জীর কথায়, ‘‘পদ্মফুল মনোনীত কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন। আপনারা দেখতে চান, আমার কথা সত্যিই কি না, দেখুন আপনারা। এ বার তো বিশ্বাস হবে। কারণ, আমি এক কথার ছেলে।’’
অভিষেক এদিন সাগরদিঘির জনসভায় বলেন, ‘‘সিপিএম, বিজেপি,কংগ্রেসের অশুভ আঁতাত প্রকাশ্যে আসুক। বাংলার মীরজাফরদের চিনে নিন৷ এখানকার কংগ্রেসের প্রার্থী আসলে বিজেপির প্রার্থী৷ বাংলার টাকা কেনো কেন্দ্র বন্ধ করেছে, তা নিয়ে একদিনও অধীর চৌধুরী সংসদে প্রতিবাদ করেননি৷ একদিনও রাস্তায় নামেননি৷ কংগ্রেস যদি আগামী দিনে একটা অঞ্চল জেতে, তবে পরের দিনই বিজেপিতে যোগ দেবে৷’’
এখানেই থেমে না থেকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘‘অনেকেই ভাবছেন উপনির্বাচনের কোনও গুরুত্ব নেই। কারণ, এই ভোটে তো আর মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবে না। জেলা পরিষদও ঠিক হবে না। মুর্শিদাবাদ জেলা ২০ জন বিধায়ক দিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞ করেছে। কিন্তু সাগরদিঘির উপনির্বাচন ২০২১ সালের ভোটের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই ভোটে বিরোধীরা সব জোট বেঁধেছে। তাই তাদের জোট ভেঙে দিতেই হবে।’’
এদিন অভিষেক তাঁর বক্তব্যের মাঝেই সাগরদিঘির তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জঙ্গিপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমানকে মঞ্চের সামনে ডেকে আনেন। তাঁরা একটি ফ্লেক্স তুলে ধরেন উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে। যেখানে দেখা যায়, কংগ্রেসের প্রার্থী বায়রনের সঙ্গে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। পাশাপাশি, বিরোধী দলনেতার একটি বক্তৃতাও শোনান অভিষেক। যেখানে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সনাতনী বুথে আপনারা পদ্মফুল ফুটিয়ে দিন। সংখ্যালঘু বুথে যাতে তৃণমূল না জেতে সেই ব্যবস্থা আমরা করব।’’
এরপরেই অভিষেক বলেন, ‘‘সিরাজকে হারাতে তাঁর একজন বিশ্বস্ত সৈনিক তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। তিনি হাত মিলিয়েছিলেন ইংরেজদের সঙ্গে। আর বাংলায় এখন যাঁরা মীরজাফর রয়েছেন, তাঁদের ভূমিকাও আপনারা দেখছেন। আর রয়েছেন এমন একজন, যিনি মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’’,