কলকাতা – নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি বা গরুপাচার – সব মামলাতেই একের পর অভিযুক্তরা ছাড়া পাচ্ছে। এই সকল মামলায় অনেকেই ইতিমধ্য়ে জামিন পেয়েছেন। তা সে হেভিওয়েট হোক বা ‘চুনোপুটি’। এমনকী তিহাড় জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের মতো হেভিওয়েটও বীরভূমে ফিরে ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় ‘খাঁচা’ থেকে বেরোনোর ইচ্ছেয় ছটফট করতে শুরু করেছেন সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান।
এরইমধ্যে জেলে ন’মাস গিয়েছে। কিন্তু কোনও ভাবেই মিলছে না জামিন। সেই কারণে রীতিমতো বিরক্ত সন্দেশখালির স্বঘোষিত বাঘ শেখ শাহজাহান। নিয়োগ দুর্নীতিতে জামিন পেয়েছেন মানিকের মতো অভিযুক্ত। সেক্ষেত্রে ইডির হাত থেকে তিনি কেন রেহাই পাবেন না? বিরক্ত হয়ে পুরনো আইনজীবীকে বদল করলেন শেখ শাহজাহান।
প্রথম দিন থেকে যে আইনজীবী শাহজাহানের হয়ে মামলা লড়ছিলেন আদালতে, সেই আইনজীবীকে সরিয়ে দিয়েছেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা। শুরুতে আইনজীবী জাকির রুমানের উপর ভরসা রাখলেও জামিন না মেলায় পরে বিরক্ত শেখ শাহজাহান। ইডি গ্রেফতার করলে সহজে জামিন পাওয়া যাবে না। এমনটা বলা হলেও, শেখ শাহজাহান ইডির হাত থেকে জামিন পাওয়া অভিযুক্তদের উদাহরণ টেনে এনেছেন বলে খবর। তার ইচ্ছে এবছরেই জামিন হোক। এবার অন্য আইনজীবীকে নিজের মামলার দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁর নতুন আইনজীবী হলেন বিপ্লব দাশগুপ্ত।
নতুন দায়িত্ব পাওয়া বিপ্লব দাশগুপ্ত বলেন, “শাহজাহানের কেসের আগে শিবু হাজরার জামিন মামলা ঝুলে আছে। শাহজাহানেরও জামিন মামলা কোর্টের কাছে ঝুলে রয়েছে। ১৪ তারিখ ইডি রিপ্লাই ফাইল করতে পারে। এই মামলার এখনও তদন্ত চলছে। ফলে এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।” সূত্রের খবর, মামলাটি চলতি মাসের শুনানির জন্য স্থির করে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তার নতুন আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে বসিরহাট সংশোধনাগারে গিয়ে শেখ শাহজাহানকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা। যদিও সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক প্রশ্ন এড়িয়ে যান শাহাজাহান। শুধু তাই নয়, তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতাও তিনি করছিলেন না বলেই অভিযোগ। এরপরেই শেখ শাহজাহানকে মার্চ মাসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়েছে।