Homeপশ্চিমবঙ্গAnubrata Mondal: অবিকল অনুব্রত! শুনলেই ক্ষেপে যাচ্ছেন শেওড়াফুলির মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার হালদার

Anubrata Mondal: অবিকল অনুব্রত! শুনলেই ক্ষেপে যাচ্ছেন শেওড়াফুলির মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার হালদার

- Advertisement -

শেওড়াফুলি: ফের মাছের বাজারে কেষ্ট! অবিকল সেই মুখ। আর বিক্রি করছেন মাছই। তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ফের পুরনো পেশায় ফিরে এলেন? রাজনীতির বিতর্ককে পিছনে ফেলে ফের সাধারণভাবে জীবন শুরু করলেন? শেওড়াফুলি বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ীর ছবিকে ঘিরে এখন এমনই প্রশ্নে উত্তাল হচ্ছে সোশাল মিডিয়া।

আসলে শেওড়াফুলির বাজারে যে ‘অনুব্রত’ মাছ বিক্রি করছেন, তাঁর নাম আসলে সুকুমার হালদার (Sukumar Haldar)। কিন্তু আসল অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর হুবহু মিল। মিল রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রথম জীবনের পেশার সঙ্গেও। অনুব্রত মণ্ডল রাজনীতিতে আসার আগে নিজেও না কি মাছ বিক্রি করতেন। সুতরাং দুয়ে দুয়ে চার করে এখন সুকুমার বাবুকেই ‘অনুব্রত’ বলে ‘ভুল’ করছেন লোকে।

ভুল করছেন, না কি টিটকিরি মারছেন? এমনটাই প্রশ্ন সুকুমারবাবুর (Sukumar Haldar)। গরু পাচার দুর্নীতির সঙ্গে যার দূর-দূরান্তে সম্পর্ক নেই, তা সত্ত্বেও অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে যাওয়ায় আক্ষেপ করতে শোনা গিয়েছে সুকুমার বাবুর গলায়। রীতিমতো বিরক্ত তাঁর স্ত্রীও।

সুকুমারবাবুর স্ত্রী শুক্লাদেবীর কথায়, “আমার স্বামী অনুব্রত? কী অবস্থা। আমারা খুব অভাবী। অনেক কষ্ট করে এই ব্যবসা দাঁড় করিয়েছি। গরু পাচারকারী একজন ক্রিমিনালের সঙ্গে আমার স্বামীর তুলনা? আমরা লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকায় চাল কিনি। যে আমার স্বামীর ছবি তুলে এমন ভাইরাল করেছে তার উপযপুক্ত শাস্তি চাই।”

সুকুমারের পাশে বসে মাছ বিক্রি করেন আর এক ব্যবসায়ী রানা পাত্র। সুকুমারবাবুকে যে অনুব্রতর মত দেখতে, তা কোনও দিন নজরে আসেনি তাঁর। তবে ছবি ভাইরালের পর মহাচিন্তায় পড়েছেন তিনিও। শেওড়াফুলি বাজারের আরও এক ব্যবসায়ী ব্রজ সাহা বলেন, ”আমার মোবাইলেও পাঠিয়েছে একজন ছবিটা। এটা মজার ছলে করা হয়েছে। আমি ভাবলাম শেওড়াফুলিতে আবার অনুব্রত এল কোথা থেকে?’’

এদিকে, যে সুকুমারবাবুকে নিয়ে এত কান্ড তিনি, এক দুর্ঘটনায় পা ভেঙেছেন। অস্ত্রোপচার করেও পা ঠিক হয়নি। বাড়ি বিক্রি করে চিকিৎসা করতে হচ্ছে। অথচ, কোটি কোটি টাকার মালিক অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর তুলনা টানা হচ্ছে। এরপর কি আর মাথা ঠিক রাখা যায়! তাই যারাই তাকে অনুব্রতর সঙ্গে তুলনা করছে, তাদেরই তিনি সপাট জবাব দিচ্ছেন, “এই পা নিয়ে ভুগছি। অনেক লড়াই করেছি। তার মধ্যে এই ইয়ার্কি। আমি সৎ পথে রোজগার করছি। যা করি নিজে করি। কার সঙ্গে কার তুলনা। ধানের সঙ্গে তুষের তুলনা।”

সুকুমারবাবু হয়তো মিডিয়াকে ঠিকই জবাবটা দিয়েছেন। কিন্তু ধানটা কে আর তুষটাই বা কে, সেটা পরিষ্কার হল না?

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -