এখন বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট (e-Passport) চালু হয়েছে, যেখানে দুটি সময় সীমার উল্লেখ আছে। একটি পাঁচ বছর অপরটি দশ বছর। আলোচ্য বিষয়ে ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট কারা করতে পারবেন আর কারা পারবেন না, সেটা জানতে হলে অবশ্যই আর্টিক্যালটির শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এম আর পি পাসপোর্টে নানা ঝামেলা ঝক্কি আছে কিন্তু এখন জরুরিকালীন ভিত্তিতে পাসপোর্ট খুব সহজে করতে পারবেন। সেটা ই-পাসপোর্ট (e-Passport)। এই পাসপোর্ট এর ভিত্তিতে আপনারা যেমন পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন তেমনি ভাবে ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি চাইলে ৪৮ পাতার পাসপোর্ট তৈরি করার পাশাপাশি ৬৪ পাতার পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেন। (ই-পাসপোর্ট বানাতে কিভাবে অনলাইনে আবেদন জানাতে হয় জানতে ক্লিক করুন)
Table of Contents
তবে এই ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট আপনারা সকলেই তৈরি করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে আজকের এই অবতারণা। সাধারণত আপনারা যখন ১০ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট তৈরি করবেন তখন আপনাদেরকে তার রিনিউ বার বার করতে হবে না। যদিও করতে হয় সেক্ষেত্রে অনেক দিন পরে রিনিউ করতে হবে বলে এক ধরনের ঝামেলা থেকে আপনারা অব্যাহতি পাবেন।
সে ক্ষেত্রে সকলেই জানেন যে অল্প কিছু টাকা বেশি খরচ হলেও ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করে নেওয়াটাই সবচাইতে ভালো হবে। কিন্তু দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে সকলেই এই সুযোগ পাবেন না। আপনি যদি দশ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট তৈরি করতে চান তাহলে নিয়ম কি বলছে দেখে নি-
- আপনাকে অবশ্যই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স হতে হবে।
- 65 বছরের উর্ধ্বে হলে আপনারা এই পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন না।
- আর সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এই বিশেষ বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তারা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন না।
তাহলে কারা পারবেন এই পাসপোর্ট (e-Passport) তৈরি করার সুবিধা
আবেদনকারী যে ১৮ বছরের উর্ধ্বে এবং ৬৫ বছরের নিচে যাদের বয়স তারা এই ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবে এবং তাদেরকে একটি অনুমোদন প্রদান করা হবে।
কেন এই নিয়ম বা ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট (e-Passport) না পাওয়ার কারণ?
- যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে তাদের বয়সন্ধিকালের কারণে শরীরের এবং চেহারার মধ্যে পার্থক্য আসতে পারে এবং এই পার্থক্যের কারণে পরবর্তীতে পাসপোর্টে যে ছবি আপনারা প্রদান করবেন সেই ছবি প্রদান করার কারণে ইমিগ্রেশনে হয়তো চেহারার মিল না পেয়ে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। তাহলে মূল কারণ এর কারণ হচ্ছে ছবি ও শারীরিক পরিবর্তন।
- যাদের বয়স ৬৫ এর অধিক তারা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করলে সে রকম সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে না। অর্থাৎ চেহারা ও দৈহিক পরিবর্তন খুব দ্রুত হওয়ার কারণে।
- সরকারি চাকরিজীবী নির্ধারিত বয়সের রয়েছেন তারা এই ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করতে না পারলেও তারা সাধারন ভিত্তিতে যে পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন তা পরবর্তীতে আপনাদের জরুরী কাজে জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের একটাই লাভ যে তারা সাধারন খরচে জরুরি পাসপোর্টের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এই পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনারা বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুসরণ করে ই-পাসপোর্ট তৈরি করে নেবেন এবং পাসপোর্ট রিনিউ করার প্রয়োজন হলে তাও রিনিউ করে নেবেন।
১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্টের খরচ বা ফি।
১০ বছর মেয়াদী ৩ ধরণের পাসপোর্ট রয়েছে নিচে তা দেয়া হল-
- সাধারণ– ৪৮ পাতার জন্য খরচ ৫,৭৫০ টাকা ও ৬৪ পাতার জন্য ৮,০৫০ টাকা
- জরুরী- ৪৮ পাতার জন্য খরচ ৮,০৫০ টাকা ও ৬৪ পাতার জন্য ১০,৩৫০ টাকা
- অতি জরুরী- ৪৮ পাতার জন্য খরচ ১০,৩৫০ টাকা ও ৬৪ পাতার জন্য ১৩,৮০০ টাকা