নয়াদিল্লি – মোদী সরকারের ‘প্যাচে’ ফের চাপে পড়তে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে ডিএ নিয়ে চাপান-উতোরের মাঝেই ফের ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার। গত অক্টোবরে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলে কেন্দ্রীয় সরকার। বেড়েছিল ৪ শতাংশ। যা ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এ বার ফের ডিএ বাড়ানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, খুব তাড়াতাড়ি আরও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াবে কেন্দ্রীয় সরকার। তা কার্যকর হবে ১ জানুয়ারি থেকে। তাতে মোট ডিএ প্রাপ্তি হবে মূল বেতনের (বেসিক) ৪২ শতাংশ। আরও একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য। ২০২২ সালের ১ এপ্রিল ও ১ জুলাই ৩ ও ৪ শতাংশ হারে ডিএ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। এ বারেরটিও ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে চলতি অর্থবর্ষে মোট ১১ শতাংশ ডিএ বাড়বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের।
অন্যদিকে, ডিএ-র ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে পিছিয়ে আছে আগে থেকেই। কেন্দ্রীয় সরকার তার কর্মীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করলে নতুন ব্যবস্থায় কেন্দ্রের সঙ্গে বাংলার ডিএ-ব্যবধান বেড়ে হবে ৩৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সরকার মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করে বাজারদরের উপরে। এর জন্য সরকারের শ্রমমন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা শ্রম ব্যুরো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পাইকারি মূল্যের হিসাব করে জিনিসপত্রের বর্ধিত বাজারদর ঠিক করে। তার উপরেই নির্ভর করে কতটা ডিএ বাড়ানো হবে। ওই কাজে স্বীকৃত জাতীয় শ্রমিক ইউনিয়নগুলির প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। জানা গিয়েছে, শ্রম ব্যুরো গত ৩১ জানুয়ারি বর্ধিত বাজার মূল্য ৪.২৩ শতাংশ নির্ধারণ করে। সেই তথ্য অর্থ মন্ত্রকে জমাও দিয়েছে। তবে ডিএ হিসাব করার সময় ভগ্নাংশ বাদ দেওয়ার নিয়ম মেনেই ৪ শতাংশ বৃদ্ধি হবে। সূত্রের খবর, শুধু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদেরই নয়, ডিএ বাড়বে পেনশনভোগীদেরও।
সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্র ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে নতুন হারে ডিএ দিতে শুরু করে। তার পরে প্রতি বছর জুলাই ও জানুয়ারি, বছরে দু’বার রীতি মেনে ডিএ বাড়াতে থাকে। সেই মতোই জুলাইয়ের পরে জানুয়ারি থেকে বৃদ্ধি হতে চলেছে। ফলে এর পরে কেন্দ্রীয় কর্মীদের ডিএ-র পরিমাণ বেড়ে হচ্ছে ৪ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ২০২১-এর ১ জানুয়ারি ৩ শতাংশ ডিএ চালু হওয়ায় বাস্তবে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সেই ব্যবধান বেড়ে হল ৩৯%।