নয়াদিল্লি – সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম ইডি‘র মামলা নিয়ে অনেকেই এখন সেই হিন্দি সিনেমার ডায়লগ বলছেন। তারিখ পে তারিখ….তারিখ পে তারিখ। সেই রকমই কান্ড যেন বাস্তবেও ঘটছে। ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর বিরুদ্ধে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের শুনানি। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, শুক্রবার অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তার সম্ভাবনা নেই। আগামী ১৪ মার্চ তাঁদের মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, ওই দিনটিকেই মামলার ‘সম্ভাব্য’ শুনানির দিন হিসাবে ধার্য করা হয়েছে। সে দিন মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে এ নিয়ে মামলাটির শুনানি চার বার পিছোল শীর্ষ আদালতে। ফলে অভিষেকের অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচের মেয়াদ বেড়েই চলল। সঙ্গে বহাল থাকল তাঁর স্ত্রীর রক্ষাকবচও।
এর আগে মামলাটি একাধিক বার শুনানির জন্য উঠলেও, প্রায় ১০ মাস ধরে অন্তর্বর্তী সেই নির্দেশই বলবৎ রয়েছে। গত তিন মাসে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠেনি। এর আগে গত বছর ১২ ডিসেম্বর, তার পর ১৩ জানুয়ারি, পরে ৩১ জানুয়ারি এবং সর্বশেষ ১৭ ফেব্রুয়ারি শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এখন আগামী মাসে শুনানির নতুন ‘সম্ভাব্য’ দিন ধার্য হল।
অথচ, এই মামলার রায়ের দিকে চাতকের মতো চেয়ে রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি গত বছরের নভেম্বরে শুভেন্দু তিনটি তারিখ দিয়েছিলেন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছিলেন, ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর ‘ধামাকা’ থাকবে। সেই রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে শুভেন্দু কী বলেন, সে দিকেই কৌতূহল ছিল সবার। তার মধ্যে ১২ ডিসেম্বর অর্থাৎ, শুভেন্দুর প্রথম দেওয়া তারিখে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু ওই দিন শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়নি। পরে সে দিনই হাজরার সভা থেকে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বে। ১২ ডিসেম্বরটা ১৩ জানুয়ারি হবে। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না।’’ এর পর জানুয়ারি মাস কেটে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারির ভ্যালেন্টাইন ডে-ও চলে গেল। ফলে শুভেন্দুর দেওয়া নতুন তারিখের মেয়াদও শেষ হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে উঠলই না অভিষেকের মামলা। উল্টে তারিখের পর তারিখ পড়ল।