আগরতলা – ত্রিপুরায় জমে উঠেছে ভোট প্রচার। বিজেপির শীর্ষ নেতারা একের পর এক আসছেন ত্রিপুরায়। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁদের মুখে তৃণমূলের নাম আসছে না। খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ত্রিপুরায় সম্প্রতি প্রচারে গিয়েছিলেন, সেখানে প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের নাম মুখেও আনছেন না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তিনিও তৃণমূলের নাম নিলেন না। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রচারে গিয়েও তৃণমূলের নাম নেননি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী একদিকে ডবল ইঞ্জিন সরকারের উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। অন্য়দিকে তিনি বাম-কংগ্রেস জোটকে একহাত নেন। শনিবার ত্রিপুরার আমবাসা ও রাধাকিশোরপুরের সভাতে বক্তব্য রাখেন মোদী। কিন্তু সেখানেও তিনি তৃণমূলের নাম নিলেন না। কার্যত যেন পিকচারেই নেই তৃণমূল। তবে কি তৃণমূলকে প্রতিপক্ষ হিসাবে মনে করছেন না বিজেপি নেতৃত্ব? নাকি কৌশলে তৃণমূলকে অবজ্ঞা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব? নাকি তলায় তলায় সেটিংয়ের জেরেই তৃণমূলকে আলাদাভাবে আক্রমণ করতে চাইছেন বিজেপির তাবড় নেতৃত্ব? এনিয়ে নানা চর্চা চলছে।
এনিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য HIRA শব্দটি উল্লেখ করেন। এরপর নিজেই জানিয়ে দেন, এইচ ফর হাইওয়ে, আই ফর ইন্টারনেট, আর ফর রোডওয়েজ ও এ ফর এয়ারওয়েজ। মোদী জানিয়েছেন, এই চারটে বিষয়ের উপর ভর করেই ত্রিপুরা এগিয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে ত্রিপুরায় বাম জমানাকে চাঁদার জমানা বলে কটাক্ষ করেন মোদী। বাম আমলে শুধু দলের কর্মীদের উন্নতি হত বলে দাবি মোদীর। এর সঙ্গে কংগ্রেসকেও একহাত নেন তিনি। তাঁর মতে, জনগণ যাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সেই বাম-কংগ্রেস আবার হাত ধরাধরি করেছে। বাম-কংগ্রেসকে বিঁধে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর মতে কেরলে কুস্তি করছেন তারা, আর ত্রিপুরায় দোস্তি করেছেন। আদিবাসী ও জনজাতিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা করেছে সেকথাও তুলে ধরেন তিনি।
অন্যদিকে আবাস, আরোগ্য ও আয়ের উপর জোর দেন মোদী। গত ৫ বছরে কীভাবে আবাস যোজনার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন, কীভাবে স্বাস্থ্যেক্ষেত্রে তাঁদের উন্নতি হয়েছে ও কীভাবে তাঁদের আয় ক্রমশ বেড়েছে সেকথাই উল্লেখ করেছেন মোদী।
তবে এতকিছুর পরেও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল তৃণমূলের নাম মুখেই আনছেন না অমিত শাহ কিংবা নরেন্দ্র মোদী। সবটাই কি সচেতনভাবে?