মঙ্গলবার, ডিসেম্বর 3, 2024
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর 3, 2024
Homeপশ্চিমবঙ্গAnubrata Mandol: পরতে পরতে নাটক, শেষ পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’কে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে...

Anubrata Mandol: পরতে পরতে নাটক, শেষ পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’কে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে গেল ইডি

- Advertisement -

: দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandol)। কিন্তু মঙ্গলবার কলকাতায় এয়ারপোর্টে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত টানটান ছিল নাটক।

এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আসানসোল জেল থেকে বেরোনোর পর থেকেই অনুব্রতকে ঘিরে ঘটে গিয়েছে একের পর এক ঘটনা। সেই ঘটনাক্রম চলতে থাকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) শেষ মুহূর্তে দাবি করেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।

কিন্তু না, শেষ পর্যন্ত নিজের সঙ্গে নিয়ে আসা ইনহেলার টেনেই মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার বিমানে উঠতে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandol)

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি পৌঁছে ফের অনুব্রতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। নিয়ে যাওয়া হতে পারে সফদরজং হাসপাতাল বা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে।

যেহেতু অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে রাত হয়ে যাবে, তাই মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হবে না। রাতে দিল্লি পৌঁছে ইডির দফতরেই রাখা হবে বীরভূমের জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হতে পারে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে কড়া পুলিশি প্রহরায় আসানসোল জেল থেকে বের করা হয় অনুব্রতকে। এর পর অনুব্রতকে নিয়ে কনভয় রওনা দেয় কলকাতার দিকে। জেল থেকে অনুব্রতকে কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে ছিল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ।

মাঝে শক্তিগড়ের একটি ধাবায় প্রাতরাশের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও সেই রেস্তরাঁয় তিন ব্যক্তির পৌঁছে যাওয়া এবং প্রায় আধঘণ্টা ধরে নিভৃতে তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতির সঙ্গে তাঁদের কথা বলা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

রাস্তার ধারের ওই রেস্তরাঁয় তিনি ঢোকার কিছু ক্ষণ পরেই তিন ব্যক্তিকে তাঁর টেবিলে গিয়ে বসতে দেখা যায়। সবুজ পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তি ছাড়াও বাকি যে দু’জন ছিলেন, তাঁদের এক জনের নাম তুফান মিদ্দা। তিনি অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের গাড়িচালক।

তৃতীয় জনের পরনে ছিল কালো ফুল স্লিভ শার্ট। দাবি, তিনি আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি। ওই তিন জনকে অনুব্রতের সঙ্গে জলখাবারে কচুরি, ছোলার ডাল, ল্যাংচা ও রাজভোগ খেতে দেখা গিয়েছে।

এমন বিতর্কিত ঘটনার মধ্যেও তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগে কোনও খামতিই লক্ষ্য করা যায়নি। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে শুরু হয় তোড়জোড়।

কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জোকার ইএসআই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন ইডির চার অফিসার। দলে দিল্লির ইডি আধিকারিকও ছিলেন। কেন্দ্রীয় হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, অনুব্রত সুস্থ রয়েছেন। তার পরেই অনুব্রতকে নিয়ে দমদম বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন ইডির আধিকারিকরা।

আরও খবর
- Advertisment -

সবাই যা পড়ছেন

পছন্দের খবর