দেবাশিষ মিত্র
পাকিস্তানের অর্থনীতির (Pakistan Economy) এত দুর্দশার কারণ প্রথম দিন থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র হিসেবে লক্ষ্য কি ছিল? দুটো লক্ষ্য।
১. ভারত কে শেষ করতে হবে।
২. মুসলিম বিশ্বের নেতা হতে হবে।
পাকিস্তান (Pakistan Economy) আজ হঠাৎ করে দরিদ্র হয় নি। এই দেশটি নিজেকে খুব প্ল্যান করে এই জায়গায় নিয়ে গেছে। যারা ইতিহাস পড়েন না তাদের কাছে এই অবস্থা হঠাৎ হয়েছে মনে হচ্ছে। দেশভাগের সমজেয় ব্রিটিশ সরকারের কাছে অগ্রাধিকার ছিল ভবিষ্যতে সোভিয়েত ইউনিয়ন কে উষ্ণ জলের সমুদ্র থেকে দূরে রাখার জন্য যা করা দরকার তাই করা। তারা জানতো যে হিন্দু মেজরিটি ভারতকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না। তাই ইকনমিক রিসোর্স ১৭% পেলেও মিলিটারি রিসোর্স পাকিস্তানের ভাগে পড়ে ৩৩%।
৪৮ সালেই প্রথমবার ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ। ন্যাটো জোটের পার্মানেন্ট ভাড়াটে সৈন্য বাহিনী হয়ে ওঠে পাক সেনারা। আসতে থাকে ডলারের ঢেউ। পাকিস্তান বুঝে নেয় যে শিক্ষা, সাস্থ্য, শিল্প ইত্যাদি ইত্যাদিতে উন্নত না হলেও চলবে । চিরকাল সোভিয়েত ইউনিয়নের জুজু দেখিয়ে পশ্চিমী দুনিয়ার থেকে পয়সা লোটা যাবে।
কিন্তু বিধি বাম। ৭১ এ বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে বেড়িয়ে গেল। ৮৯ এ সোভিয়েত বিলুপ্ত হয়ে গেল। পাকিস্তান কে আর ন্যাটোর প্রয়োজন থাকলো না। কাঁচা টাকা আসা বন্ধ হল। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত বিশ্বজোড়া ইসলামী সন্ত্রাস এর প্রধান পান্ডা যে পাকিস্তান তাও কারো আর জানতে বাকি রইলো না। শুরু হলো উলটো পুরাণ। আমেরিকার চাপে আফগানিস্তানে এবং পাকিস্তানের ভিতর উগ্র মৌলবাদী উগ্রপন্থী সংগঠন গুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হলো। পাল্টা আক্রমণ শুরু করলো জঙ্গীরা। লাদেন কে খতম করার পর আমেরিকার উদ্দেশ্য সফল। আর পাকিস্থানের মাটিতে লাদেন কে পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের মান সম্মান আর কিছু থাকলো না।
এর সঙ্গে যুক্ত হলো কার্গিল পরবর্তী সময়ে ভারতের শক্ত পদক্ষেপ। ভারতের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হলে পাকিস্তানের সঙ্গে বেশি মাখামাখি করা চলবে না এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হলো। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমতে শুরু হলো পাকিস্তানের। তারপরও চলছিল কোন রকমে, নিজের পায়ে কুড়ালের শেষ কোপ নিজেই মারলো ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি নিয়ে। ভারতের সঙ্গে বানিজ্য বন্ধ।
ফলাফল সবার সামনে।