HomeখবরAgnipath: অগ্নিপথ প্রকল্প দেশের স্বার্থে, হস্তক্ষেপের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল দিল্লি...

Agnipath: অগ্নিপথ প্রকল্প দেশের স্বার্থে, হস্তক্ষেপের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট

- Advertisement -

নয়া দিল্লি: অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প দেশের স্বার্থের কথা ভেবে শুরু করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী এবং সংগঠিত করতেই এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। সুতরাং অযথা কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। সোমবার অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করা আবেদনগুলি খারিজ স্পষ্ট জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট।

অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পের ‘অগ্নিবীর’ আসলে ‘চুক্তিভিত্তিক সেনা’ নিয়োগের প্রক্রিয়া বলে অভিযোগ করে দেশের আদালতে মামলা করেন অনেকে। পাশাপাশি দিল্লি হাই কোর্টেও কিছু আবেদন জমা পড়েছিল। সেই আবেদনগুলিই এদিন খারিজ করতে গিয়ে এই রায় দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ।

আবেদনগুলি খারিজ করার পাশাপাশি দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলেছেন, আবেদনকারীদের এই ভাবে নিয়োগ চাওয়ার কোনও অধিকার নেই। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই রায় সংরক্ষিত ছিল।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০২২-এর ১৪ জুন ভারতীয় যুবাদের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করেছিল। একেবারে স্বতন্ত্র এই নিয়োগ প্রকল্পে বলা হয়েছিল, দেশের ৪৬ হাজার যুবাকে ৪ বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে নেওয়া হবে। এরপর তাঁদের অবসর ভাতা হিসেবে এক কালীন ১১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। যাতে সেই টাকা দিয়ে তাঁরা অন্য কোনও কাজ করতে পারেন।

তবে এই যুবাদের অন্তত ২৫ শতাংশকে সেনাবাহিনীতে পুরোপুরি নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তারজন্য তাঁদের আরও কিছু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কেন্দ্র সরকারের তরফে জানানো হয়, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুশৃঙ্খল ও দক্ষ সেনাবাহিনী তৈরির পাশাপাশি দেশের বেকার সমস্যা দূর করতেই মোদী সরকারের এই ভাবনা।

কিন্তু এনিয়ে দেশে বিরোধী দলের নেতারা রাজনীতি শুরু করে দেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মোদী বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা দাবি করতে শুরু করেন, আসলে দেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল এবং বেকার জীবন নিয়ে ছেলে-খেলা করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

বিরোধীদের পাশাপাশি দেশের একাংশ যুবাও মোদী সরকারের এমন প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে হিংসার ঘটনাও ঘটে। প্রতিবাদী যুবাদের অভিযোগ ছিল, আসলে পেনশন দায় যাতে না নিতে হয় সেই কারণেই মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত।

কিন্তু এদিন দিল্লি হাই কোর্ট তার রায়ে জানিয়ে দিল, কেন্দ্র সরকার অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা দেশের স্বার্থের কথা ভেবেই নিয়েছে। সুতরাং আদালতের এতে হস্তক্ষেপ করার কিছু নেই। তবে মামলাকারীরা এতেই থামবেন বলে মনে হয় না। এবার হয়তো তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আবেদন জানাবেন।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -