ওয়াশিংটন : এ সপ্তাহে নয়া দিল্লিতে আসর বসতে চলা G20 সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং (Chinese President Xi Jinping)। এনিয়ে ‘হতাশা’ প্রকাশ করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (USA President Joe Biden)। তাঁর কথায়, “আমি হতাশ, কিন্তু ওঁকে দেখতে যাব।”
তবে, বাইডেন এমন কোনও সম্ভাবনার কথা জানাননি যে, এরপর তিনি চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করবেন। শি যদি দিল্লি না যান, তাহলে এই দুই রাষ্ট্রনেতার নভেম্বরে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে। যখন আমেরিকা সান ফ্রান্সিসকোয় APEC সম্মেলনের আয়োজন করবে।
G20 সম্মেলনের আয়োজনের সঙ্গে জড়িত আধিকারিকদের একাংশ নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসার কোনও পরিকল্পনাই নেই শি-র। সম্ভবত, ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের আবহেই এমন পদক্ষেপ নিতে চলেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট। এর জেরে উভয় দেশের সম্পর্কে আরও শীতলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে চিনের প্রেসিডেন্টের বদলে তাদের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এনিয়ে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
নভেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে G20 সম্মেলনে শেষবার কথা বলেছিলেন বাইডেন ও জিনপিং। কিন্তু, চিনের গুপ্তচর বেলুন আমেরিকায় ঢুকে পড়ায় উভয় দেশের সম্পর্কে আরও কোনও অগ্রগতি হয়নি। তাইওয়ানের বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মৌলিক মতবিরোধ রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মার্কিন আইন প্রণেতাদের তাইওয়ান পরিদর্শন এবং তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতির মার্কিন সফর, সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির উপর বাইডেনের রফতানি-নিষেধাজ্ঞা, কিউবা থেকে চিনের নজরদারি এবং বেলুনের ঘটনা। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে উভয় দেশের টানাপোড়েন রয়েছে।
যদিও সেক্রেটারি অফ স্টট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন, জলবায়ু দূত জন কেরি এবং বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো-সহ সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সাম্প্রতিককালে বাইডেন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা চিন সফর করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা আশা করেছিল, ভারতের G20 সম্মেলনে উভয় দেশের সম্পর্কের উন্নতির পরবর্তী ধাপ হতে পারে।
গত সপ্তাহেই বাইডেন আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, সম্মেলনে যোগ দেবেন শি।