কেরল: পুরনো রীতি বদলে এবার জ্যান্ত হাতির বদলে রোবট হাতি (Robotic Elephant) দিয়েই হবে মন্দিরের যাবতীয় আচার পালন। নজিরবিহীন এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরলের ত্রিশুর জেলার ইরিঞ্জাপল্লীর শ্রীকৃষ্ণ মন্দির। রোবট হাতিটির (Robotic Elephant) নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইরিঞ্জাদাপল্লী রামন’। তার উচ্চতা সাড়ে ১০ ফুট। ওজন ৮০০ কেজি। এই রোবট হাতিটিকে উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছে ব্যবস্থা করল পেটা ইন্ডিয়া নামে এক পশু সংরক্ষণকারী সংস্থা।
জানা গিয়েছে, এই রোবট হাতিতে একসঙ্গে চড়তে পারবেন ৪ জন। ফলে রোবট হাতি যে জ্যান্ত হাতির থেকে কোনও অংশেই কম নয়, সেটা বেশ স্পষ্ট। এমনকী, ‘ইরিঞ্জাদাপল্লী রামন’ জ্যান্ত হাতির মতোই মাথা, চোখ এবং কান নাড়াতে পারে। তবে এসব করাতে গেলে রোবট হাতি ‘ইরিঞ্জাপল্লী রামনে’র একটি জিনিসের দরকার পড়ে। আর সেটি হল ‘খাদ্য’। আর তার ‘খাদ্য’ হল বিদ্যুৎ।
আসলে, কেরলের মন্দিরে একাধিকবার আচার-অনুষ্ঠানের সময় হাতিকে ‘পাগল’ হয়ে যেতে দেখা গেছে। মাঝে মাঝেই হাতির ‘পাগলামি’র ঘটনা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এতে জিনিসপত্রের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষেরও অনেক সময় প্রাণ যায়। তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে কেরলে হাতির হামলায় ৫২৬ জন মারা গিয়েছে। সেই কারণেই মন্দির কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আচার পালনে হাতির ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই অবস্থায় রোবটিক হাতিই এবার ভরসা হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, হাতির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ভারতের। প্রাচীন ভারতে যুদ্ধের ময়দানে গুরুত্বের বিচারে ঘোড়ার পড়েই ছিল হাতির স্থান। বাংলার জঙ্গল লাগোয়া এলাকাতে হাতি হল মহাকাল দেবতা। তবে দক্ষিণ ভারতে এই প্রাণীটির সম্মান অনেকটাই বেশি। কেরলে ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠানে হাতির উপস্থিতি ছাড়া সম্ভবই না। রোবট হাতি পাওয়ার পর মন্দির কর্তৃপক্ষের আশা, আগামীদিনে কেরলের অন্য মন্দিরগুলি একই পদক্ষেপ করবে।