নয়াদিল্লি – ফের পিছিয়ে গেল দিল্লির মেয়র নির্বাচন। এর আগে দু‘দুবার মেয়র নির্বাচনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু যুযুধান দু’পক্ষের হাতাহাতি, মারামারিতে দু’বারই মেয়র নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সোমবার ফের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল। এদিন তৃতীয় বার নির্বাচনের জন্য দু’দলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এ বারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায়, মেয়র নির্বাচন ঘিরে রাজধানীতে জট বহালই রইল।
এক মাসে ঠিক এই ৬ জানুয়ারির দিনটিতে দিল্লির মেয়র নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু সে দিন অধিবেশনের শুরুতেই হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায় আপ এবং বিজেপির প্রতিনিধিদের মধ্যে। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনা মেয়র নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেন। কিন্তু সেদিনও একই ঘটনা ঘটে। তারপর আজ ৬ জানুয়ারিও দেখা গেল সেই একই ঘটনা।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এমনটা বারবার ঘটছে? আসলে, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা আগেই ১০ জনকে মনোনীত সদস্য হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল আপ। এর পরই আপ নেতৃত্ব প্রশ্ন তোলেন দিল্লি সরকারকে এড়িয়ে কী ভাবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করে তাঁদের মেয়র নির্বাচনের ভোটাধিকার দিতে পারেন। যা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত।
প্রসঙ্গত, ২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতেছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আপ। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেমে আসে ১০৪-এ। ৯টি ওয়ার্ডে জেতেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। দিল্লি পুরসভার মেয়র পদে আপ প্রার্থী করছে প্রথম বার কাউন্সিলর নির্বাচনে জয়ী শেলি ওবেরয়কে। ডেপুটি মেয়র পদে আপের প্রার্থী আলে মহম্মদ খান। অন্য দিকে, বিজেপি মেয়র পদে প্রার্থী করেছে শালিমার বাগের রেখা গুপ্তকে। ডেপুটি মেয়র পদের জন্য প্রার্থী করেছে কমল বাগরীকে।