কলকাতা – ফের টাকার পাহাড় উদ্ধার হল কলকাতায়! এবার, গড়িয়াহাট! জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা ও এসটিএফের গোয়েন্দারা যৌথভাবে একটি অভিযান চালায়। গড়িয়াহাট মোড়ের কাছে একটি গাড়ি আটক করা হয়। সেই গাড়ি থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় গাড়ির চালক দুলাল রায় ও মুকেশ সারস্বতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, দুলাল রায়ের বাড়ি বেলগাছিয়া। মুকেশের বাড়ি কলকাতার যমুনালাল বাজার স্ট্রিটে। তবে তিনি রাজস্থানের। তদন্তকারীদের অনুমান, এই টাকার সঙ্গে হাওয়ালার যোগ রয়েছে। এর আগে দেখা গিয়েছে, বড়বাজার ও পোস্তা এলাকা থেকে দফায় দফায় ৫০ লক্ষ এবং ৬০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। গড়িয়াহাট থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। গড়িয়াহাট থানা এলাকা থেকে ধৃতদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তাদের কাছে গাড়ির নম্বর ছিল। সঙ্গে খবর ছিল, গাড়িতে বিপুল পরিমাণে টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই এসটিএফ ও কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার গোয়েন্দারা সাড়ে ৬টা নাগাদ গাড়িটিকে গড়িয়াহাট মোড়ের কাছে আটকায়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই টাকার সন্ধান মেলে। এখনও টাকার গণনা চলছে।
অন্যদিকে, গতকাল, বুধবার কলকাতায় কয়লা পাচারকাণ্ডের তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বালিগঞ্জের একটি বেসরকারি সংস্থার দফতরে সারা রাত তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি-র আধিকারিক সূত্রে খবর, ১ কোটি ৪০ লক্ষ নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে ওই দফতর থেকে। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু ডিজিটাল তথ্যও।
তদন্তের সূত্রেই কয়লা পাচারকাণ্ডের এই বেসরকারি সংস্থার নাম সামনে আসে। ইডি জানতে পারে, এই বেসরকারি সংস্থাটির মাধ্যমে কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা বিনিয়োগ করা হত। এ ভাবে কালো টাকা সাদা করা হত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। বালিগঞ্জের টাকার সঙ্গে কি গড়িয়াহাটের যোগসূত্র রয়েছে? তদন্তে ইডি।