ক্যানিং – তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার ফেসবুক পেজের স্টেটাসে মহিলার উন্মুক্ত শরীর! যা নিয়ে হৈচৈ কান্ড পড়ে গিয়েছে। ব্যাপার কী? না, শওকত মোল্লা এরজন্য দায়ী নন। এই ঘটনায় হ্যাকের অভিযোগ করেছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক।
অভিযোগ, তাঁর ফেসবুক পেজ হ্যাক করে একের পর এক অশ্লীল ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ফেসবুক স্টেটাসে শেয়ার করা হয়েছে উন্মুক্ত শরীরের ছবি। এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। এই নিয়ে সাইবার সেলে অভিযোগও জানান শওকত।
শওকত মোল্লা বলেন, “এমএলএ শওকত মোল্লা নামে আমার যে ফেসবুক পেজ, সেটা ষড়যন্ত্র করে হ্যাক করা হয়েছে। বিরোধীদের আইটি সেলের কাজ বলেই আমার মনে হয়েছে। আমাদের ফলোয়ার্স, ভিউয়ার্স এতটাই বেশি যে এরা ষড়যন্ত্র করে এটা করল। আমরা এর তীব্র নিন্দা করি। এ ধরনের নোঙরামো বাংলার মানুষ তো বটেই, দেশের মানুষও মানবে না।”
একথা সত্যি যে, সাইবার ক্রাইমের ঘটনা অহরহ ঘটছে। বিভিন্ন সাইবার থানাগুলিতে অভিযোগের পাহাড়। সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে কুরুচিকর পোস্ট ছড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল ফেলার অপরাধীও নেহাত কম নয় চারপাশে।
সব থেকে বড় বিষয়, সাইবার ক্রাইমের সিংহভাগ ক্ষেত্রে মূল অপরাধীর পিঠ বাঁচানোর সুযোগ অনেক বেশি। ফলে সেই সুযোগকেই কাজে লাগানো হচ্ছে। সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা বারবারই বলছেন, সোশ্যাল হ্যান্ডেলগুলির সুরক্ষার দিকে বিশেষ নজর রাখতে। স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি ঘন ঘন পাসওয়ার্ড বদলেরও পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
কিন্তু ঘটনা যাই হোক না কেন, এতে শওকত মোল্লা বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন। এমনিতে তাঁর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করে থাকেন বিরোধীরা। খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শওকত মোল্লাকে ‘তুই তো বোমা বাঁধিস’ বলেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে যদি ফেসবুকের মাথায় এধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে শওকত মোল্লা মুখ দেখাবেন কী করে?