ইস্তানবুল – দু‘দিন আগে তুরস্কে এক ভারতীয় মহিলা সেনা জওয়ানের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এবার সোশাল মিডিয়া কাঁপাচ্ছে চার সারমেয়। এনডিআরএফ দলের সঙ্গে তুরস্কে যাওয়া চারটি কুকুর জুলি, রোমিও, হানি ও ব়্যাম্বো। মঙ্গলবার তারা উড়ে গিয়েছে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে। ল্যাব্রাডর প্রজাতির এই চার কুকুরই উদ্ধারকাজের ব্যাপারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বিভিন্ন ভগ্নস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষের সন্ধান উদ্ধারকারীদের দিচ্ছে এই তার সারমেয়। তুরস্কে যাওয়া এনডিআরএফ দলের কনজিনেন্ট কম্যান্ডার গুরমিন্দর সিং এ ব্যাপারে বলেছেন, “ডগ স্কোয়াড উদ্ধারকাজ খুবই সাহায্য করেছে। জুলি এক জীবিতের খোঁজ দিয়ে তাঁর জীবন বাঁচাতেও সাহায্য করেছে।”
তুরস্কের আন্তাকা এবং কারামানমারাস এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূমিকম্পের জেরে। সেখানকার অধিকাংশ বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে। তার নীচে আটকে মৃতদের দেহ উদ্ধার এবং জীবিতদের বের করে আনছেন উদ্ধারকারীরা। সেই কাজে সাহায্য করছে ভারতের কুকুররাও।
এদিকে, চূড়ান্ত চাপে রয়েছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান-ও। বাস্তব হল, ভূমিকম্পে তাঁর গদি-ও টলমল। ভূমিকম্পের আগে এরদোয়ান জানুয়ারির শেষের দিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বুরসা প্রদেশে যুব সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ১৪ মে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন মোটেই সহজ হতে যাচ্ছে না এরদোয়ানের জন্য।
এমনিতেই বিশেষজ্ঞদের মত, নির্বাচনে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে চলেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান। তার ওপর নির্বাচনের ঠিক তিন মাস আগে এহেন ভূমিকম্প প্রবল চাপে ফেলে দিয়েছে তাঁকে। এই অবস্থায় আসন্ন নির্বাচন এরদোয়ানের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা মনে করা হচ্ছে।
অবশ্য ভূমিকম্প ছাড়াও এরদোয়ানের শাসনকালে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত তুরস্ক। ২০১৪ থেকে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি তিনি। এর আগে ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দেশের। তাঁর বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তাঁর শাসনকালেই মুদ্রাস্ফীতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হল ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজে অব্যবস্থা। সব মিলিয়ে সত্যিই এক বড় চাপে এরদোয়ান।