মঙ্গলবার, নভেম্বর 19, 2024
মঙ্গলবার, নভেম্বর 19, 2024
HomeখবরKarachi Suicide Attack: পাকিস্তানের করাচিতে আত্মঘাতী হামলা, মৃত ৭

Karachi Suicide Attack: পাকিস্তানের করাচিতে আত্মঘাতী হামলা, মৃত ৭

- Advertisement -

ইসলামাবাদ – শুক্রবার পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচির (Karachi) পুলিশ সদর দফতরে আত্মঘাতি হামলা (Suicide Attack) চালাল জঙ্গিরা। যে ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ১৮ জন। মৃতদের মধ্যে ৩ জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য জারি করেছেন পাকিস্তানি (Pakistan) তালিবান বা টিটিপি। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ খান বলেছেন, কিছু জঙ্গি পুলিশ সদর দফতরে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় হাতবোমা ছুঁড়েছে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানি তালিবানি (Pakistani Taliban) জঙ্গিরা এবার আক্রমণের লক্ষ্য হিসেবে করাচির এক পুলিশ ভবনকে বেছে নেয়। সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে দু‘জন আত্মঘাতি হামলা চালায়। ঘটনায় ওই দু‘জনেরও মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ এবং প্যারামিলিটারি ফোর্স ওই পুলিশ ভবন পরিষ্কার করে দেয়। সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ প্রধান গুলাম নবী মেমনের জানিয়েছেন, ‘‘৩ নিরাপত্তা বাহিনী এবং ১ জন বেসামরিক ব্যক্তি ঘটনায় মারা গিয়েছেন। এবং ১৮ জন নিরাপত্তা বাহিনী জওয়ান গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের করাচির সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এঁদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’’

এদিকে, ঘটনার নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পাকিস্তানের প্রধান বাণিজ্যিক শহরে (Karachi suicide attack) এমন আত্মঘাতিকে হামলায় প্রাণ হারানো নিরাপত্তারক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করে তিনি বলেন, ‘‘এধরনের ঘটনা অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’ এই মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তুরস্কে রয়েছেন। তুরস্ক সরকার মানা করা সত্বেও তিনি ভূমিকম্পে মৃতদের পরিবার ও এরদোয়ান সরকারের পাশে দাঁড়াতে তুরস্কে ছুটে গিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সঙ্গে তেহরিক-ই-তালিবানের (TTP) যুদ্ধবিরতি সমঝোতা বিফল হওয়ার পর থেকেই এধরনের আত্মঘাতী ঘটনার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। দিন দশেক আগেও পাকিস্তানের অতি নিরাপত্তাবহুল মসজিদে আত্মঘাতী হামলা চালায় টিটিপি বা তেহরিক-ই-তালিবান। সেই ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ঘটনার পিছনে পাকিস্তানের নিজেরও দায় রয়েছে। কেননা, পাকিস্তানে ইমরান খানের সরকার থাকার সময় আফগানিস্তানে বন্দি টিটিপির প্রায় ৪০ হাজার জিহাদিকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। ইমরান খান এই জঙ্গিদের পাকিস্তানে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। অনেকের মতে, আসলে ইমরান খান এইসব জঙ্গিদের আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই ইমরান খানের সরকারের পতন হয়। তাছাড়া, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছ থেকে টাকা ধার করতে ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।

এই অবস্থায় আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে ফেরত জঙ্গিরা টিটিপিতে যোগ দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই হামলা চালাতে শুরু করেছে। যদিও পাকিস্তান এখন নতুন দাবি করতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, টিটিপিকে আসলে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র সাহায্য করছে। সেই কারণেই এধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে। যদিও পাকিস্তানের এমন অভিযোগ নিয়ে খোদ পাক ফৌজ ও পাকিস্তান সরকারের মধ্যেই মতবিরোধ রয়েছে।

আরও খবর
- Advertisment -

সবাই যা পড়ছেন

পছন্দের খবর