HomeUncategorizedePassport 2023: ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম

ePassport 2023: ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম

- Advertisement -

ePassport 2023। পাসপোর্টের প্রক্রিয়া অতি সহজ এবং প্রযুক্তির সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলতেই ePassport-এর ব্যবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু এনিয়ে মানুষের মনে কিছুটা ভীতি বা ভয় কাজ করে। অনেকের মনে এই প্রশ্নও ওঠে সাধারণ Passport থেকে ePassport আলাদা নয় তো? কিংবা ePassport-এর ফরম পূরণের প্রক্রিয়াটা অন্য ধরনের নয় তো? এর আগে ePassport-এর ফরম না পূরণ করে থাকলে এই ভয়টা স্বাভাবিক। কিন্তু ভয়ের কোনও কারণ নেই। যাতে আপনাদের ভয় কাটে তাই আগে-ভাগেই আপনাদের জন্য রইল ePassport 2023-এর ফরম পূরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

অনলাইন বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট (ePassport 2023) আবেদনের নিয়ম ২০২৩

ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমে www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে যান।  

এখনে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসারে অনলাইনে আবেদন করুন। আবেদনে ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা ও পিতা-মাতার তথ্য সঠিকভাবে লিখুন। আবেদন Submit করুন।

আবেদন Submit করার পর, ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করুন। সবশেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনটি পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন।

অবশ্যই জাতীয় ‍পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ অনুযায়ী, নাম, পিতা-মাতার নাম ও অন্যান্য তথ্য পূরণ করতে হবে।

বি।দ্র। পাসপোর্ট আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই নির্দেশকাগুলি সবার আগে অনুসরণ করে নেবেন। যদি কোন রকম ভুল করে থাকে তাহলে আপনাকে পরবর্তী সময়ে নানা সমস্যায় পরতে হতে পারে। অতএব আবেদনের পূর্বে অবশ্যই  ই-পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম কানুন জেনে নিন তারপর পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাবেন।

আপনি কি জানেন এই আবেদন এখন থেকে আপনি নিজেই ঘরে বসে করতে পারবেন, কিভাবে করবেন তা নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হল।    

প্রথমে ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য খুব বেশি কাগজপত্রের দরকার হয় না এবং সত্যায়িত করানোর ও প্রয়োজন হয় না। এবার দেখে নিই কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে ই-পাসপোর্ট করতে-   

  • অনলাইনে আবেদনের সারসংক্ষেপ বা সামারী – Application Summery
  • আবেদনের কপি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • ঠিকানার প্রমাণপত্র/ ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও অরিজিনাল পাসপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)
  • পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড (পেশাজীবির ক্ষেত্রে- যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, আইনজীবি)
  • নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম

পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য প্রথমে www.epassport.gov.bd ভিজিট করুন

  • এরপর Apply Online মেন্যুতে ক্লিক করুন।
  • করে আঞ্চলিক অফিসথানা নির্বাচন করুন।
  • এরপর ইমেইল ভেরিফিকেশন
  • আপনার ব্যক্তিগত তথ্য
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্টের তথ্য, ঠিকানা
  • পিতা-মাতার তথ্য ও জরুরী যোগাযোগের ঠিকানা
  • সবশেষে পাসপোর্টের ধরণ/ ডেলিভারীর ধরণ সিলেক্ট করে আবেদন সম্পন্ন করুন ও প্রিন্ট কপি নিন।

ধাপ ১: আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন

ভিজিট করুন- e-passport application. আপনি নিচের মত একটি পেইজ দেখবেন।

এখানে আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য ইংরেজিতে সঠিকভাবে পূরণ করুন।

ধাপ-২ ইমেল ভেরিফিকেশন

এবার করতে হবে ইমেল- ভেরিফিকেশন তারপর পুনরায় ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে/ Login

এখানে আপনার নাম, তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্র বা নম্বর দিন এবং

Save and Continue তে ক্লিক করুন।

জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কোনটি প্রয়োজন?

উল্লেখ্য, আবেদকারীর বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে আপনি অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। 

১৮-২০ বছরের মধ্যে বয়স হলে, আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন (BRC) উভয়টির যে কোন একটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

যদি আপনার বয়স ২০ বছরের বেশি হয়, আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মাট কার্ড না পেলে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারেন।

আই ডি ডকুমেন্ট (ID Documents) ধাপে আপনার আগের পাসপোর্ট আছে কি না অথবা অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট আছে কি না সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনের তথ্য অবশ্যই দিতে হবে।   

আপনার পূর্বের কোন পাসপোর্ট থাকলে Yes দিন আর না থাকলে No,

I don’t have any previous/ handwritten passport.

পাসপোর্ট সংশোধন বা রিনিউ আবেদন

যারা পাসপোর্ট সংশোধন বা রিনিউ আবেদন করবেন তারা এক্ষেত্রে অবশ্যই Yes দিয়ে আপনার আগের পাসপোর্টের তথ্যাদি দেবেন।

ঠিকানা

 আপনার Present Address Permanent Address সঠিকভাবে লিখুন। যদি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়, নিচের বাক্সে টিক চিহ্ন দিন।

Emergency Contact

জরুরীকালীন প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য আপনার পরিবারের বাবা, ভাই বা অন্য কারো নাম, ঠিকানা ও তাঁদের মোবাইল নম্বর দিন।

Passport Option

এবার আপনার পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা ও মেয়াদ Select করুন।

Delivery Option

Passport Delivery সাধারণ না জরুরী আপনি কোনটা চাইছেন সেটা সিলেক্ট করুন। সাধারণ হলে Ordinary, জরুরী হলে Express এবং অতি জরুরী হলে Super Express সিলেক্ট করুন।

সবশেষে আপনার সব তথ্য পূনরায় যাচাই করে আবেদন জমা দিতে 

Submit বাটনে ক্লিক করুন।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -