নয়াদিল্লি – দীর্ঘ ৬ মাসের অপেক্ষা শেষ! এবং নতুন পালক জুড়ল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মুকুটেএ। ভারতের প্রথম সৌর-অভিযান সফল করে শনিবার বিকেলে নির্দিষ্ট কক্ষপথে সফল ভাবে আদিত্য-এল১কে বসিয়ে দিয়েছে ইসরো। আগামী পাঁচ বছর সেখানেই থাকবে সৌরযানটি। সংগ্রহ করবে নানা তথ্য। সূর্যকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য-এল১।
গত ২ সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল আদিত্য-এল১। তার পর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে তার চারপাশেই পাক খাচ্ছিল সৌরযানটি। পৃথিবীর কাছে মোট পাঁচটি কক্ষপথ বদলের পর অবশেষে টান কাটিয়ে বেরিয়ে যায় সেটি।
সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। তার এক শতাংশ দূরত্ব অতিক্রম করেছে আদিত্য-এল১। সেখান থেকে সূর্যকে স্পষ্ট দেখা যাবে। কোনও বাধা আসবে না। চার মাসের দীর্ঘ যাত্রাও মসৃণ ছিল। তেমন কোনও বাধা আসেনি আদিত্য-এল১-এর পথে। সূর্যের নানা ধরনের ছবি তুলে পাঠিয়েছে সৌরযান।
স্বাভাবিকভাবেই ইসরোর এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি শনিবার সৌর-অভিযানের সাফল্যের খবর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে লিখেছেন, ‘‘ভারত আরও এক মাইলফলক তৈরি করল। ভারতের প্রথম সৌর পর্যবেক্ষণকারী মহাকাশযান আদিত্য-এল১ তার গন্তব্যে পৌঁছেছে। এটি আমাদের বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রমের ফসল। ইসরোর এই অভাবনীয় সাফল্যে সারা দেশের সঙ্গে সঙ্গে আমিও গর্বিত। মানব সভ্যতার স্বার্থে আমরা বিজ্ঞানের এমনই আরও অনেক দুয়ার উন্মোচন করতে থাকব।’’
প্রসঙ্গত, সূর্যের কাছে ল্যাগারেঞ্জ পয়েন্ট বা এল১ পয়েন্টের দূরত্ব পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। গত চার মাস ধরে এই পথ অতিক্রম করেছে আদিত্য-এল১। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাকে উদ্দিষ্ট কক্ষপথটিতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে ইসরোই প্রথম নয়। এর আগে এই কাজ একমাত্র করতে পেরেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ওই এলাকায় আগে থেকেই নাসার আরও চারটি মহাকাশযান রয়েছে। তারাও সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এর আগে ভারতের কোনও মহাকাশযান সূর্যের এত কাছে যায়নি।