নয়া দিল্লি: হিমালয়ের থেকেও উঁচু, সমুদ্রের থেকেও গভীর এবং মধুর থেকেও বেশি মিস্টি ‘বন্ধুত্ব’ শেষ পর্যন্ত কাজে এল দেউলিয়া (Pakistan Economical Crisis) হতে বসা পাকিস্তানের। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে কিছু বেশকিছু ডলার দিতে রাজি হয়েছে চিন। এই সপ্তাহের মধ্যেই চিন পাকিস্তানের হাতে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার পাকিস্তানের হাতে তুলে দেবে। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক ডার চিনের উন্নয়ন ব্যাংক বোর্ড কর্তৃক ঋণ অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন।
পাকিস্তান এই সপ্তাহে টাকা পেতে পারে
ইসহাক ডার টুইট করেছে নিজেই জানিয়েছেন, এই ঋণের টাকা হাতে পাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। এবং চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের বোর্ড পাকিস্তানের জন্য ৭০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে। এই ডলার এই সপ্তাহে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানে জমা পড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা হলেও বাড়বে।
পাকিস্তান কি তাহলে দেউলিয়া হবে না
অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা যদিও বলছেন, চিনের এই সাহায্য বা ঋণ আসলে উটের মুখে জিরার সমান। কেননা, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের প্রয়োজন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু পাকিস্তান তার মধ্যে মাত্র ৭০০ মিলিয়ন ডলারই হাতে পাচ্ছে। চিনের যা আর্থিক ক্ষমতা তাতে পাকিস্তানকে ২-৩ বিলিয়ন ডলার দিতেই পারে। কিন্তু চিন সেটা করছে না। বরং ডলার দেওয়ার আগে পাকিস্তানকে আইএমএফের কাছে ঋণ নেওয়ার জন্য চেষ্টা করতে বলেছে।
চিনের নতুন কৌশল নয় তো
অনেকে আবার এটাও বলছেন, আসলে চিন পাকিস্তানের কাছে ঋণের কিস্তি হিসেবে যে ডলার কিছুদিন আগে তুলে নিয়ে গিয়েছিল – সেই ডলারই ফের ঋণ হিসেবে পাকিস্তানের খাতায় তুলে দিল। এমনিতে, চিন পাকিস্তানকে সিপেক (CPEC-China Pakistan Economical Corridor) তৈরির নামে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণে জড়িয়ে ফেলেছে। এছাড়াও, নিজের দেশের অব্যবহৃত অস্ত্র পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে ধারের অঙ্ক লাগাতার বাড়িয়েছে। সেই সব ঋণেরই সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে পাকিস্তানের এখন দেউলিয়া অবস্থা হয়েছে। কৌশলে চিন সাহায্যের নামে আরও একবার ঋণ দিয়ে পাকিস্তানকে দেখানোর চেষ্টা করল, কঠিন পরিস্থিতি ‘বন্ধু’র পাশেই রয়েছে ড্রাগনের দেশ।