রামপুরহাট – এক সিপিএম কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অপরাধে ১২ জন তৃণমূল কর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা আদালত। শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস এই রায় দেন। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়।
রাজ্যে পালাবদলের পর প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় ২০১৩ সালের জুলাই মাসে। সেই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দিন, অর্থাৎ ২৩ জুলাই অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমের রামপুরহাট থানার সইপুর গ্রামের বাসিন্দা সিপিএম কর্মী হুমায়ুন মীরের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সিপিএম কর্মী হুমায়ুন মীরকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২৪ জুলাই সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর সেই দিনই রামপুরহাট থানায় ১৪ জনের নামে দাদাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বোন জেসমিনা খাতুন।
আদালত সূত্রে খবর, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। রামপুরহাট মহকুমা আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন দু’জন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। গত ২০ জুলাই বিচারক বাকি ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। এর পর শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দিলেন।