মঙ্গলবার, ডিসেম্বর 3, 2024
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর 3, 2024
Homeখবরপ্রকাশ্যেই বিনীত গোয়েলের নাম বলে দিলেন আরজিকরের ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়

প্রকাশ্যেই বিনীত গোয়েলের নাম বলে দিলেন আরজিকরের ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়

- Advertisement -

কলকাতা – বিস্ফোরক দাবির পর এবার নামটাও উচ্চারণ করে ফেললেন! আরজি কর কান্ডের একমাত্র অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় সোমবার দাবি করলেন, তাঁকে ফাঁসিয়েছেন কলকাতা পুলিশের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তার কথায়, ‘‘বিনীত গোয়েল আমাকে সাজিশ (ষড়যন্ত্র) করে ফাঁসিয়েছে!’’

আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সোমবার থেকে বিচার শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে শিয়ালদহ আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে বেরোনোর সময় ফের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার।

এর আগে গত সপ্তাহে আরজি করে ধর্ষণ-খুনের মামলায় চার্জ গঠনের পর শিয়ালদহ আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে ঠিক যে ভাবে চিৎকার করতে দেখা গিয়েছিল সঞ্জয় রায়কে। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সরকার ও ‘ডিপার্টমেন্ট’ তাঁকে ভয় দেখাচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। ধৃত বলেছিলেন, ‘‘আমি রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি। আমি বললাম যে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে সেখানেও যেতে দিল না। সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমাকে ভয় দেখাচ্ছে যে তুমি কিছু বলবে না। ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমি পুরোপুরি নির্দোষ।’’

সোমবারও ঠিক একই রকম ভাবে চিৎকারে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন ধৃত। প্রিজন ভ্যানের জানলার কাছে মুখ এনে তাঁর দাবি, ‘‘আমাকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। বড় বড় অফিসার সব! আমি নাম বলে দিচ্ছি। বিনীত গোয়েল আমাকে ফাঁসিয়েছে। বিনীত গোয়েল, ডিসিডিডি স্পেশ্যাল সাজিশ করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমাদের সরকারও ওদের সমর্থন করেছে।’’

আরজি কর-কাণ্ডের পরেই বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সময় বিরোধীদের পাশাপাশি তৃণমূলের সুখেন্দু শেখর রায়ের মতো কয়েকজন নেতাও বিনীতের ভূমিকায় সোচ্চার হয়েছিলেন। শেষে পরিস্থিতির চাপে পড়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে বিনীতকে কলকাতা পুলিশের কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন নতুন করে বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ধৃত সঞ্জয় রায়।

উল্লেখ্য, সোমবার শিয়ালদহ আদালতে নির্যাতিতার বাবা হাজির ছিলেন। আর ছিলেন নির্যাতিতার এক প্রতিবেশী সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ও, যিনি নিজেকে ‘কাকু’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। অনুমান, তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সেই প্রক্রিয়া চলে। বিকেল ৫টার একটু পরে আদালত থেকে সকলকে বেরোতে দেখা যায়। যে হেতু আরজি কর মামলায় বদ্ধ এজলাশে অর্থাৎ ‘ইন ক্যামেরা’ বিচার শুরু হয়েছে, সেই কারণে সকলেই মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটালেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার!

আরও খবর
- Advertisment -

সবাই যা পড়ছেন

পছন্দের খবর