Homeপশ্চিমবঙ্গMili Chakraborty: ‘সুজনের স্ত্রীর চাকরি বৈধতা নিয়ে দিদির সঙ্গে কথা বলব’- বললেন...

Mili Chakraborty: ‘সুজনের স্ত্রীর চাকরি বৈধতা নিয়ে দিদির সঙ্গে কথা বলব’- বললেন ব্রাত্য

- Advertisement -

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর সেই বিতর্ক হল সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর (Mili Chakraborty) চাকরি নিয়ে। সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)

শুক্রবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর (Mili Chakraborty) চাকরি বৈধতা নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। কথা বলে ঠিক করবেন, সে নিয়ে কোনও তদন্ত হবে কি না। ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) কথায়, ‘‘তদন্ত করতে হবে কি না, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করব। কারণ মুখ্যমন্ত্রী যদি বলেন, আমার কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছ কেন, তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।’’

কিন্তু গত ১২-১৩ বছর ধরে সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) স্ত্রীর চাকরির বৈধতা নিয়ে তৃণমূল সরকার মুখ খোলেনি কেন? এর উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘‘সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী (Mili Chakraborty) কোন কলেজে চাকরি করেন, কাল অবধি জানতামই না। ওদের মতো কে কখন ট্রেনে, বাসে যাতায়াত করছে, বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করছে, আমরা তার খোঁজ করি না।’’

তাহলে এখন কেন এনিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে? তার কারণ হিসেবে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘উনি অবসর নিয়েছেন ২০২১ সালে। এই সরকারের বেতন নিয়েছেন এবং এখন পেনশন নিচ্ছেন। ১২-১৩ বছর ধরে এ নিয়ে আমরা কোনও কথা বলিনি। কারণ আমরা বদলা নয়, বদল চাই।’’ এরপর ক্যাগ রিপোর্ট দেখান শিক্ষামন্ত্রী। যেখানে ৪৬ হাজারের বেশি নিয়োগে গড়মিল, চিরকূট সব হয়েছে। আর বলেন, ‘‌ভদ্রতা মানেই কি দুর্বলতা?‌’‌

পাশাপাশি এদিন সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষের পালটা জবাবে ব্রাত্য বসু একথাও বলেন, ‘‌উনি কে হরিদাস পাল? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? পলিটব্যুরো সদস্য? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের তুলনা করছেন? দলে কী জায়গা রয়েছে ওঁর? সকাল থেকে বাইট দেওয়ার জন্য বসে থাকেন। যা হয়েছে, তা কাল পার্থ ভৌমিক বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন। বাকিটা শ্বেতপত্রে প্রকাশ করা হবে।’‌

পরিস্কার কথায়, এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতিতে যেভাবে বর্তমান শাসকদল একাধিক তদন্তের মুখে পড়ে জেরবার হচ্ছে, তাতে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার একটা রণকৌশল দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। তাঁদের মতে, আসলে তৃণমূল মানুষকে বোঝাতে চাইছে – দুর্নীতিটা আগে থেকেই হয়ে আসছে। সিপিএম আমল থেকেই হয়ে আসছে।

আর তারই যুক্তি দিতে গিয়ে এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘১৯৭৯ সালে তৈরি হয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন। তখনও গ্রুপ সি এবং ডিকে ওরা কলেজ সার্ভিস কমিশনের আওতায় আনেনি। নথি থেকে তাই পরিষ্কার নয় যে, ওঁর (সুজনের স্ত্রী) ক্ষেত্রে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ হয়েছিল কি না।’’

ব্রাত্য এও বলেন, ‘‘শ্বেতপত্রে সব লেখা থাকবে। তৃণমূল এক বারও বলেনি দুর্নীতি ছিল। সেই শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে যদি কখনও কেউ মামলা করেন, আদালত যদি তদন্তের নির্দেশ দেয়, যদি দেখা যায় হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী বঞ্চিত?’’ ব্রাত্য দাবি করেছেন, পূর্বতন সরকারের আমলে হওয়া দুর্নীতিকে ইডি, সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় আনতে চেয়েছিলেন তিনি। এর পরেই তাঁর কটাক্ষ, ‘‘কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না।’’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দলীয় বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বামফ্রন্ট আমলে কারা কারা শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সেই তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এদিন ব্রাত্য বসু সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে তিনি তৈরি। বাম আমলের চিরকুটে চাকরির শ্বেতপত্র প্রকাশ এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা।

- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -
- Advertisement -