কলকাতা – দুর্ঘটনায় ফের মৃত্যু এক স্কুল ছাত্রের। কলকাতার সল্টলেকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়ার। মৃত শিশুর নাম আয়ুস পাইক। সে কেষ্টপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ত। মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে স্কুটিতে চেপে ফিরছিল শিশুটি। সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের সামনে সল্টলেক-হাওড়া রুটের বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে যায় সে। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটির মা ও ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু্র্ঘটনার জেরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়েরা। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে উঠে যায় অবরোধ। এর এর আগে বেহালায় লরি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রথম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। তারপর সম্প্রতি বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির ছাত্রর। অভিযোগ উঠছিল পুলিশি নজরদারির। সল্টলেকের ঘটনাও আরও একবার সেই প্রশ্ন ফের উস্কে দিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি বাসের রেষারেষিতেই প্রাণ গিয়েছে ওই শিশুর। মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে স্কুল থেকে স্কুটিতে চেপে ফিরছিল চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রটি। তার বাড়ি মানিকতলায়। সে সময় সল্টলেকের রাস্তায় দু’টি বাসের রেষারেষি চলছিল। তার মধ্যে একটি বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে যায় শিশুটি। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, স্কুল ছুটির পর দুই ভাইকে নিয়ে কেষ্টপুর থেকে স্কুটি চালিয়ে ফিরছিলেন তাঁদের মা। বেপরোয়া গতিতে রেষারেষি করছিল ২১৫এ নম্বর রুটের দু’টি বাস। সেই সময় জোরে ধাক্কা মারে একটি স্কুটিতে। বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে ছিটকে পড়েন তিনজন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। দুর্ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় সল্টলেক এলাকায়।
এই ঘটনার পর ক্ষিপ্ত জনতা রাস্তা অবরোধ করেন। পুলিশি নজরদারির গাফিলতি তুলে সরব হন তাঁরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পরে পৌঁছয় পুলিশ। এলাকাবাসীর দাবি, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে সিভিক ভলান্টিয়াররা কোনও কাজ করেন না। বসে বসে ফোন দেখেন। সঠিকভাবে গাড়ি চলাচল হচ্ছে কি না তা তাঁরা দেখেন না। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “বাস যখন ধাক্কা মেরেছে সেই সময় তখন কোনও পুলিশ ওদের উদ্ধারে আসেনি। পুলিশের কর্তব্য কী ছিল? একটা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা। তা না করে বাসের পিছনে দৌড়চ্ছে।”