কলকাতা: প্রত্যাশামতই রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যেভাবে শুক্রবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদপদ খারিজ করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এদিন টুইটে লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারাই বিজেপির মূল নিশানা হয়ে উঠেছেন। যখন অপরাধের ইতিহাস থাকা বিজেপি নেতাদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তখন বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে ভাষণ দেওয়ার জন্য! আজ, গণতন্ত্র নতুন নীচতায় পৌঁছল।’’
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ করে টুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)। তবে মমতা বা অভিষেক, কেউই রাহুলের নাম নেননি। তবে জোড়া টুইটের সময় দেখে মনে করা হচ্ছে, নাম না করলেও রাহুলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক।
স্বাভাবিকভাবেই এদিন খোদ তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের এভাবে নাম না করে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) পাশে দাঁড়ানোতে ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে ফের নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
গোয়া বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের যে টানাপোড়েন চলছিল, তা মিটে যাওয়ার ইঙ্গিত এদিনের এই দুই টুইটে পাওয়া গিয়েছে বলে বলছেন অনেকে। কংগ্রেসের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত কয়েকমাস ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিতে ‘একলা চলো’র নীতি নিয়েছিলেন।
কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেসের মতো দলকে বাদ দিয়ে সে পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফল হওয়া অত্যন্ত কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সম্প্রতি সংসদে এরজন্য তৃণমূলকে বার বার একাও হয়ে যেতে দেখা যাচ্ছিল।
এবার রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর বিরুদ্ধে সরব হলেন, তাতে আর যাই হোক কংগ্রেস অবশ্যই খুশি হবে। তাছাড়া, সনিয়া নয়, এই রাহুল গান্ধীর মতামতের সঙ্গেই তৃণমূল নেত্রীর একটা বোঝাপড়ার অভাব হচ্ছিল। রাহুল গান্ধীই তৃণমূলের সঙ্গে চলতে খুব একটা রাজি ছিলেন না।
সুতরাং এদিন মমতা ও অভিষেক রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে যেমন কংগ্রেসের মন জয় করল, ঠিক তেমনই মোদী সরকারকে আক্রমণ করে এক ঢিলে দুই পাখি মারল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।