কলকাতা: গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গাঙ্গুলীর (Haimanti Ganguli) নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত বলে দাবি করেছেন ইডির হাতে ধৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। আর তার পর থেকেই হৈমন্তীকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। দানা বেঁধেছে রহস্যও। এই আবহে তৃণমূলের ‘কালারফুল নেতা’ মদন মিত্রর (Madan Mitra) সঙ্গে সেই হৈমন্তীর ছবি প্রকাশ্যে।
কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে হৈমন্তীর সেলফি রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে বাংলা বাজারে। তবে এসব নিয়ে মোটে মাথা ঘামাতে চান না মদন মিত্র। তাঁর দাবি, স্কুল-কলেজে যাওয়া মেয়েদের মাঝেও তাঁর ‘ক্রেজ’ কম নয়। মেলা হোক বা খেলার মাঠ, মদন মিত্রকে দেখতে পেলে, কেউই সেলফি তোলার সুযোগ ছাড়তে চান না। হৈমন্তীর সঙ্গে তাঁর সেলফিও সেভাবেই হয়ত উঠেছে।
তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি হৈমন্তী বলে কাউকে চেনেন না। কুন্তল বা গোপালের সঙ্গেও পরিচয় নেই। তাঁর সঙ্গে রোজ বহু নারী ছবি তোলেন, নিজস্বী তোলার আবদার করেন। তিনি সেই আবদার রাখেন এবং অনেকে আবার সেই ছবি বাড়িতে বাঁধিয়ে রাখেন। যেমন বাঁধিয়ে রাখা হয় রবীন্দ্রনাথের ছবি।
- নতুন প্রযুক্তির প্যানকার্ড আনছে সরকার, পুরনো কার্ডের কি হবে জানিয়ে দিল কেন্দ্র
- ছয়ে ছয় করে কথা রাখল তৃণমূল, মাদারিহাট হারিয়ে ‘ছন্নছাড়া’ প্রস্তুতির মাশুল দিল বিজেপি
মদন মিত্রের কথায়, “আমার এক শুভানুধ্যায়ী আমাকে সকালবেলা পাঠিয়েছেন। আমার পাশে উনি খুব ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি বললাম, আমাকে তৃণমূলের বিধায়ক বা পার্টির নেতা না করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট করে দিলে অনেক বেশি মহিলা আমি সমবেত করতে পারতাম। এখন আমি কী করে বলব, কে কখন ছবি তুলছে। একটাই কথা বলি, কে হৈমন্তী মদন মিত্রের সঙ্গে কখন ছবি তুলল, কী করল এইগুলো না জেনে এর থেকে অনেক বেশি রহস্য ঘিরে থাকছে যে কুন্তল ঘোষ, গোপাল দলপতি এরা কারা। এদের অবস্থান কী?”
মদনের সঙ্গে হৈমন্তী কবে এবং কোথায় এই নিজস্বী তুলেছিলেন, তা-ও তাঁর মনে নেই বলেই জানান মদন। আর সেই কথা বলতে গিয়ে আবার উঠে আসে রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ। মদনের কথায়, ‘‘রবীন্দ্রনাথও বলতে পারেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা। ওই-যে সুদূর নীহারিকা যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়’। এই ছবি এখন নৈনিতাল, দিঘা না ইকো পার্কে তোলা সেটা কী করে বলব?’’
এখানেই থামেননি মদন। ডান হাতে লাগানো সাদা রঙের গ্লুকোজ মনিটর দেখি বলেন, ১৫ হাজার টাকা দাম। তিনদিনও যায় না। “সেলফি তুলব বলে ঝুলে পড়েছে। কলেজ আর স্কুলের মেয়েরা। আমি কী করব। ধাক্কা মারব? মহিলারা যখন সেলফি তোলেন হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছু করারও থাকে না। আফটার অল মহিলা। কে কখন সেলফি তুলেছেন বলতে পারব না। তবে যেটা আমি ভাবছি, এবার থেকে সেলফি তুলতে এলে পাঁচ মিনিট বসে বলব, আসুন চা খাই, গল্প করি। বাবার নাম, ব্যাকগ্রাউন্ড জেনেই ছবি তুলব।”