১২৫ টি দেশের মধ্যে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় ৭৩ তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় এবার মিস ইউনিভার্স হলেন ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কজেয়ার থেলভিকো (Victoria kjaer thelviko)। এবারের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল মেক্সিকোতে। ২১ বছরের এই প্রতিযোগি ১২০ জনেরও বেশী প্রতিযোগিকে পিছনে ফেলে বিশ্বসুন্দরীর বিজয়মুকুট পড়েন। পেশায় ভিক্টোরিয়া একজন নৃত্যশিল্পী, উদ্যোক্তা এবং আইনজীবী। এই মুকুট পড়িয়ে দিয়েছেন মিস নিকারাগুয়ার সেই মিস সেনিস পেলাসিওস। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে তিনিও ইতিহাস তৈরি করলেন। কারণ এই প্রথম একজন ডেনিস বিজয়ী এই শিরোপা পেয়েছেন।
এই প্রতিযোগিতাও এবার ইতিহাস গড়েছে। কারণ এবারই প্রথন এই প্রতিযোগিতায় ২৮ বছরের বেশী বয়সী প্রতিযোগীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গর্ভবতী নারী, মা, ও বিবাহিত নারীদের অংশগ্রহণেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। মালটার সেঞ্জোয়া ৪০ বছরের প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে এবারের প্রতিযোগিতায় রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।
এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রাণার আপ নাইজেরিয়ার চিদিনমা আদিত সিনা আর দ্বিতীয় রাণার আপ হয়েছে, মেক্সিকোর মারিয়া ফার্নান্দা বেলট্রান।
২০২৪ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে সেরা ৫ প্রতিযোগী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, থাইল্যান্ড, ভেনেজুয়েলা, এবং ডেনমার্কের প্রতিযোগীরা।
ভিক্টোরিয়া শেষ পর্বে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন- ‘যেখান থেকেই আসুন না কেন, লড়াই চালিয়ে যান। আমি এখানে দাঁড়িয়েছি কারণ আমি পরিবর্তন চাই। ইতিহাস গড়তে চাই। এবং আজ এই রাতে আমি সেটাই করছি’
তাকে শেষ যে প্রশ্ন করা হয়েছিল- ‘কেউ যদি আপনাকে বিচার না করেন তাহলে আপনি কিভাবে বাঁচবেন?’ উত্তরের ভিক্টোরিয়া বলেছিলেন- ‘আমি প্রতিদিনের মতোই বাঁচবো’।
এক নজরে ভিক্টোরিয়া কজেয়ার থেলভিকো (Victoria kjaer thelviko)
- ভিক্টোরিয়া কেজার থিলভিগ, পাঁচ বছর বয়সে থেকে সুন্দরী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। মিস ইউনিভার্স সহ আন্তর্জাতিক বিনিন্ন প্রতিযোগিতা দেখার সময় তার এই বিষয়ের প্রতি অনুরাগ শুরু হতে থাকে।
- ১৭ বছর বয়সে, তিনি তার প্রথম প্রতিযোগিতা মিস ডেনমার্কে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানে দ্বিতীয় রানার আপ হইয়েছিলেন। ২০২২ সালে, তিনি মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল-এ ডেনমার্কের প্রতিনিধিত্বও করেন এবং শীর্ষ ২০ ফাইনালিস্টদের মধ্যেই থাকেন।
· মিস থিলভিগ বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার দুই মাস আগে সেপ্টেম্বরে মিস ইউনিভার্স ডেনমার্ক ২০২৪-এর বিজয় মুকুট পেয়েছিলেন।
· তিনি ব্যবসা এবং বিপণনে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন এবং হীরা বিক্রয়ে স্পেশালাইজেসন করে জুয়েলারি শিল্পে প্রবেশ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তিনি আইনের ডিগ্রি অর্জনের পরিকল্পনা করেছেন এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখেছেন।
· ভিক্টোরিয়া একজন প্রাক্তন পেশাদার নৃত্যশিল্পী যিনি ইউরোপীয় এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। মিসেস থিলভিগও নাচের প্রশিক্ষক।
· "মাদকাসক্ত বহু ধসে যাওয়া পরিবার" অথবা "অপব্যবহার এবং ট্রমা" এইসব থেকে উদ্ধার পাবার জন্য মিসেস থিলভিগ মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেন এবং সর্বৈব সমর্থন করেন।
· তাঁকে ‘পশু মা’ বলা হয়। কারণ তিনি তাঁর শহরে স্থানীয় পশুদের আশ্রয় ও যত্নের বিষয়ে একজন একনিষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক।