নয়াদিল্লি: সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি বুঝি একেই বলে! লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ‘হামলা’র পর মোদী সরকার আশা করেছিল ব্রিটিশ সরকার কিংবা দিল্লির ব্রিটিশ হাই কমিশন (UK High Commission) নিশ্চয় কোনও পদক্ষেপ করবে। কিন্তু কোথায় কী! ঘটনার ৩দিন পরেও ব্রিটিশ সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ তো দূরের কথা, সরকারি বিবৃতিটুকুও ঠিকঠাক ভাবে দেওয়া হয়নি।
কিন্তু ব্রিটিশ সরকার খালিস্তানিপন্থীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করলেও মোদী সরকার বেশ নড়চড়ে বসেছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির চাণক্যপুরী এলাকার শান্তিপথে ব্রিটিশ হাই কমিশনের (UK High Commission) বাইরে এবং রাজাজি মার্গে ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স এলিসের বাসভবনের বাইরে রাখা ব্যারিকেডগুলি বুধবার দুপুরের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এর আগে অমৃতপাল সিংয়ের সমর্থনে রবিবার লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ‘হামলা’ চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থী বেশ কয়েকজন। ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে থেকে ভারতীয় পতাকা টেনে নামানোর চেষ্টা করে এক খালিস্থানপন্থী বিক্ষোভকারী।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার গভীর রাতে ক্রিস্টিনাকে তলব করা হয় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। লন্ডনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারের থেকে এই নিয়ে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কীভাবে ভারতীয় হাইকমিশনে খালিস্তানপন্থী বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করল? ভারত সরকারের তরফে আরও প্রশ্ন করা হয়েছে, লন্ডনের পুলিশ প্রশাসন এবং নিরাপত্তারক্ষীরা সেই সময় কোথায় ছিল?
কিন্তু এখানেই থেমে না থেকে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ব্রিটিশ সরকারকে ‘ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে মৌলিক বাধ্যবাধকতা’র বিষয়টি করিয়ে দেওয়া হয়। এবং ঘটনার পর এক বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘ব্রিটেনে ভারতীয় কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ এবং কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের উদাসীনতাকে অগ্রহণযোগ্য মনে করছে ভারত সরকার।’
কিন্তু এরপরেও ব্যাপারটি নিয়ে ব্রিটিশ সরকার উদাসীন থাকায় এবার ব্রিটিশ হাইকমিশনের বাইরে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে পালটা কূটনৈতিক জবাব দিল ভারত।