কলকাতা : ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)। বদলে দায়িত্ব দেওয়া হল হুগলি জেলা তৃণমূলের নেতা তপন দাসগুপ্তকে। বুধবারই তপন দাসগুপ্ত বিধায়ক ইমামদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই এই দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। যদিও ঘনিষ্ঠ মহলে ফিরহাদ না কি জানিয়েছিলেন, অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ফুরফুরা শরিফে সবসময় যেতে পারেন না তিনি, সে কারণেই এই রদবদল করা হয়েছে।
সোমবারই মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংখ্যালঘুদের সমস্যার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে ফুরফুরা শরিফের একাংশের সঙ্গে রাজ্য সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কারণ ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সম্প্রতি তাঁকে ৪২ দিন কারাবাসে থাকতে হয়েছে।
তাছাড়া, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের পরেই গুঞ্জন উঠেছে, সংখ্যালঘুরা শাসকদলের পাশ থেকে সরতে শুরু করেছে। রবিবার স্থানীয় বিধায়ক তথা পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী নওশাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে, দেখা হয়নি তাঁদের। তাই ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতেই অভিজ্ঞ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনীতির বৃত্ত থাকা একাংশ।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় কৃষি বিপণন মন্ত্রী ছিলেন তপন। বর্তমানে তিনি আদি সপ্তগ্রাম কেন্দ্রের বিধায়ক। পরপর ৩ বার ওই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। দীর্ঘদিন হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতিও ছিলেন তপন। এ বার সেই অভিজ্ঞ নেতাকেই ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করলেন মমতা।