ভোপাল – বাংলার ব্যর্থতা এখন অতীত। মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের নেতৃত্বে নতুন ইনিংস শুরু করলেন এক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহানের পর মোহন যাদবের নেতৃত্বে যে মন্ত্রিসভা গড়া হয়েছে তাতেই ঠাঁই পেয়েছেন মুকুল রায় ঘণিষ্ঠ কৈলাস।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন কৈলাস। সেই সময় বিজেপিতে থাকা মুকুল রায়কে নিয়ে দাবি করেছিলেন, দু’শোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি। কিন্তু নীল-সাদা বাড়ির লড়াইয়ে একশো আসনও পায়নি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল। যদিও কৈলাসের ‘পর্যবেক্ষণেই’ বিজেপির আসন ৩ থেকে বেড়ে ৭৭ হয়েছিল।
তারপর বাবুঘাটের গঙ্গা দিয়ে অনেক জলই এই ক‘বছরে বয়ে গিয়েছে। মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। রাজনীতির মূল স্রোতে আসার চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু ‘মস্তিষ্ক বিকৃতি’ সেই পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গ রাজনীতিতে মুকুল রায় এখন অতীত। কিন্তু এ বার মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে ইনদওর-১ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন কৈলাস।
যদিও তাঁর ছেলে, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে ইনদওর-৩ কেন্দ্রে জয়ী আকাশকে টিকিট দেওয়া হয়নি। গত ১১ ডিসেম্বর বিজেপি হাইকমান্ড মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অনগ্রসর (ওবিসি) নেতা তথা উজ্জয়িনী-দক্ষিণ কেন্দ্রের তিন বারের বিধায়ক মোহন যাদবকে বেছে নিয়েছিল।
সেই সঙ্গে দুই উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তফসিলি জাতির নেতা জগদীশ দেবড়া এবং দলের ব্রাহ্মণ ‘মুখ’ রাজেন্দ্র শুক্লকে বেছে নেওয়া হয়। ১৩ ডিসেম্বর তাঁরা শপথ নিয়েছিলেন। সোমবার শপথ নিয়েছেন মোট ১৮ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ১০ জন প্রতিমন্ত্রী। কৈলাস ছাড়া সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম মোদী মন্ত্রিসভার সদ্যপ্রাক্তন সদস্য তথা সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে নরসিংহপুর কেন্দ্রে জয়ী প্রহ্লাদ পটেল।
প্রসঙ্গত, এ বারের বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৬৩টি আসন। গত বারের চেয়ে ৫৪টি বেশি। মোট ভোটের প্রায় ৪৯ শতাংশ। যা ২০০৩ সালের চেয়ে প্রায় পাঁচ শতাংশ বেশি। অন্য দিকে, ৬৬টি আসনে জেতা কংগ্রেস ভোট পেয়েছে প্রায় ৪১ শতাংশের কাছাকাছি। আট শতাংশের ওই ভোটের পার্থক্যে কংগ্রেসের চেয়ে ৯৭টি আসন বেশি জিতেছে বিজেপি।