কলকাতা- শনিবার বিকেলেই এসেছেন। রবিবার পশ্চিমবঙ্গে জোড়া সভা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপিত জে পি নাড্ডা। কিন্তু এদিন শুরুতেই পূর্বস্থলী সভা থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুরটি চড়িয়ে রাখলেন। বাংলায় এসে বাংলা ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন নাড্ডা। ভাঙা ভাঙা বাংলা উচ্চারণে বলেন, “আপনার নাম তো মমতা। কী করে নির্মমতা হয়ে গেল। কার্টুন পছন্দ হল না বলে একজনকে জেলে পাঠিয়ে দিলেন?” এরপরেই নাড্ডার হুঙ্কার, বাংলা থেকে সিন্ডিকেট, কাটমানির খেলা শেষ হবে। শেষ হবে তৃণমূলের খেলাও।
এদিন তৃণমূলের নতুন সংজ্ঞাও বোঝালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বললেন, TMC-র অর্থ তোলাবাজি সন্ত্রাস, মানি লন্ডারিং অর্থাৎ, আর্থিক তছরূপ এবং দুর্নীতি ও কমিশন। পূর্ব বর্ধমানের সভা থেকে বঙ্গে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি। নাড্ডার তোপ, “TMC-র নতুন নাম, T-এ তোলাবাজি টেরর, M-এ মানি লন্ডারিং এবং C-এ কোরাপশন এবং কমিশন।” এরপরেই, এ রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনার একের পর এক পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। নাড্ডার দাবি, অ্যাসিড হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। নারী নির্যাতনের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা চতুর্থ বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, সেখানে নারীরা এমন অসুরক্ষিত কেন?
এদিন পূর্বস্থলীর একটি কালী মন্দিরেও পুজো দেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি। পুজো দিয়ে বেরিয়ে তৃণমূলকে রক্তবীজ বলে কটাক্ষ করে নাড্ডা বলেন, “বাংলায় গণতন্ত্র নয়, হিংসার রাজত্ব চলছে। সাধারণ মানুষ এর থেকে মুক্তি চান। মা কালীর কাছে আশীর্বাদ চেয়েছি, আমরা যাতে মানুষকে সোনার বাংলা উপহার দিতে পারি।” এদিন নড্ডা আরও বলেন, ‘তৃণমূল বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে। এই জনসভার ভিড় বলে দিচ্ছে বাংলায় পরিবর্তন হবেই। এখানে জঙ্গলরাজ চলছে। অত্যাচার ও অপশাসন থেকে মুক্তি চায় বাংলা।’
তিনি বলেন, ‘দেশের গরিবের জন্য ঘর দিচ্ছেন মোদীজি। আর সেই প্রকল্পে এক টাকাও না দিয়ে নিজের নামে চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।’ জে পি নড্ডা মনে করান, কলকাতা মেট্রোর জন্য ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হাওড়া – নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
নাড্ডার মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের অবশ্য মন্তব্য, “নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশে জিততে পারেন না। নিজের সরকার ধরে রাখতে পারে না৷ জ্ঞান দিচ্ছেন তারপর আবার। আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলে সস্তার রাজনীতি করছেন৷ পঞ্চায়েতে প্রার্থী পাবে না বলে সন্ত্রাসের গল্প শোনাচ্ছে।”