মঙ্গলবার, নভেম্বর 19, 2024
মঙ্গলবার, নভেম্বর 19, 2024
HomeখেলাT-20 Women's World Cup: টি-২০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জঘণ্য হার ভারতের মহিলা ক্রিকেট...

T-20 Women’s World Cup: টি-২০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জঘণ্য হার ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের

- Advertisement -

পারফেক্ট ডেস্ক: বৃহস্পতিবার লড়াই করেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T-20 Women’s World Cup) সেমিফাইনালে হেরে গেল হরমনপ্রীতের ভারত। আইসিসির আরও একটি প্রতিযোগিতার নক আউট পর্ব থেকে বিদায় নিতে হল ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলকে। হতাশায় ম্যাচের পর চোখের জল আটকাতে পারেননি হরমনপ্রীত (Harman Preet)। খেলা শেষ হওয়ার পর হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা গিয়েছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে।

বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের সহজ ক্যাচ ফস্কান রিচা। সেইসময় এক রানে খেলছিলেন ল্যানিং। শেষপর্যন্ত ৩৪ বলে অপরাজিত ৪৯ রান করে যান। ২০ তম ওভারে জোড়া ছক্কা এবং একটি চারও মারেন। যা ভারতের পাঁচ রানের হারের পর আরও বেশি করে টিম ইন্ডিয়ার সমর্থকদের ধাক্কা দিয়ে যাচ্ছে। তবে শুধু সেটাই নয়, উইকেটের পিছনে রিচা একটি স্টাম্পিংও ফস্কান।

ফিল্ডিংয়ের সেই ব্যর্থতা ব্যাটিংয়েও ঢাকতে পারেননি ভারতের তারকা রিচা। খাতায়কলমে ১৭ বলে ১৪ রান করেন। সেই ইনিংসে আটটি ডট বল ছিল। অর্থাৎ নিজের ইনিংসের প্রায় ৫০ শতাংশ বলে কোনও রান করতে পারেননি। অথচ রিচা যখন ক্রিজে নেমেছিলেন, তখন হরমনপ্রীত কৌর পুরো ‘সেট’ ছিলেন। তাই সেইসময় বড় শটের কোনও প্রয়োজন ছিল না। এক রান নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করা উচিত ছিল, যাতে হরমন স্ট্রাইক পান। হরমন যতক্ষণ মারবেন, ততক্ষণে রিচা নিজেও ‘সেট’ হয়ে যেতেন। তারপর হাত খুলতে পারতেন। ওই সময় রিচা নিয়ে এক রান-এক রান নিয়ে যদি খেলতেন, তাহলে পরের দিকে এতটা চাপ তৈরি হত না।

সেমিফাইনালে ৩৪ বলে ৫২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেছেন হরমনপ্রীত। তবু তাঁর দল হেরেছে ৫ রানে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ দায়ী করছেন গুরুত্বপূর্ণ সময় অধিনায়কের রান আউট হওয়াকে। হরমনপ্রীত নিজেও মানতে পারছেন না। ভেঙে পড়েছেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চোখ ঢেকে এসেছিলেন রোদচশমায়। ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সময়ও তাঁর মুখে ফুটে উঠেছে স্বপ্নভঙ্গের হতাশা।

হরমনপ্রীত বলেছেন, ‘‘তখন আমার চোখে জল ছিল। চাইনি আমার কান্না দেশবাসী দেখতে পাক। চোখের জল ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছিলাম।’’ হার নিয়ে বলেছেন, ‘‘একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে চারপাশে। একটু ধাতস্থ হওয়ার পর হয়তো বুঝতে পারব। জানি না কত দিনে এই হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারব। তবু মনে হয় প্রতিযোগিতায় আমরা যথেষ্ট ভাল ক্রিকেট খেলেছি।’’ এর পর কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার আর কিছু বলার নেই।’’

আরও খবর
- Advertisment -

সবাই যা পড়ছেন

পছন্দের খবর