প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজস্থানের দৌসাতে দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের দিল্লি-দৌসা-লালসোট অংশের উদ্বোধন করলেন। ২৪৬ কিলোমিটার লম্বা দিল্লি-দৌসা-লালসোট সেকশনটি ১২,১৫০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই হাইওয়ে চালু হলে দিল্লি থেকে জয়পুর যাতায়াতের সময় ৫ ঘণ্টা থেকে কমে ৩ ঘণ্টা হবে। এর সঙ্গে পুরো অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নও তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন ঠিক কী বললেন
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনসমাজের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘‘এই এক্সপ্রেসওয়ে উন্নয়নশীল ভারতের একটি প্রতিচ্ছবি দেখাচ্ছে। এই বছরের বাজেটে, আমরা পরিকাঠামোর জন্য ১০ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছি। এই টাকার পরিমাণ ২০১৪ সালের বাজেটের থেকে প্রায় ৫গুণ বেশি। এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে রাজস্থানের পাশাপাশি সারাদেশ উন্নয়নের ফল পাবে।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন আরও বলেন, ‘‘যখন এমন আধুনিক রাস্তাঘাট, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, মেট্রো নির্মিত হয়, তখনই দেশ এগিয়ে যায়। বিগত ৯ বছর ধরে, কেন্দ্রীয় সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নে লাগাতার বিপুল বিনিয়োগ করছে। দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে এবং ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডোর রাজস্থান এবং দেশের জন্য অগ্রগতির দুটি শক্তিশালী স্তম্ভ হয়ে উঠতে চলেছে। এই প্রকল্পগুলি আসন্ন সময়ে রাজস্থান-সহ এই সমগ্র অঞ্চলের চিত্র পাল্টে দিতে চলেছে।’’
মোদীকে অভিনন্দন নিতিন গড়করির
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের ফেজ-১ সহ ৪টি এনএইচ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিতোরগড়ের সাফা এবং বিজয় স্তম্ভ উপহার দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান।
Delighted to be in Dausa, Rajasthan where key connectivity projects are being launched. These will greatly benefit citizens by reducing travel time. https://t.co/6noM2NH0oX
— Narendra Modi (@narendramodi) February 12, 2023
এই এক্সপ্রেসওয়ের বৈশিষ্ট্য
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে ভারতের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে হবে। যার দৈর্ঘ্য ১,৩৮৬ কিলোমিটার। এটি দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে ভ্রমণের দূরত্ব ১,৪২৪ কিলোমিটার থেকে ১,২৪২ কিলোমিটারে মানে প্রায় ১২ শতাংশে এবং ভ্রমণের সময় ২৪ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টায় মানে প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি বলেন, ‘‘এই এক্সপ্রেসওয়েতে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল, পাইপলাইন, সৌর শক্তি এবং জল সংগ্রহের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
এক্সপ্রেসওয়ে যে রাজ্যগুলিকে সংযুক্ত করবে
এই এক্সপ্রেসওয়েটি ভারতের ছয়টি রাজ্য দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে যাবে। এবং কোটা, ইন্দোর, জয়পুর, ভোপাল, ভাদোদরা এবং সুরাতের মতো দেশের প্রধান শহরগুলিকে সংযুক্ত করবে। এক্সপ্রেসওয়েটি ৫০০ মিটার ব্যবধানে ২,০০০টি জল রিচার্জ পয়েন্টে বৃষ্টির জল সংগ্রহের সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও এটিতে একটি স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রয়েছে।