পটনা: বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবীর বাড়িতে হানা দিলেন সিবিআই (Rabri Devi CBI)। লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ীকে জমি বেচে চাকরি দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোমবার সকালে সিবিআই হানা দিতেই পটনায় লালু-রাবড়ীর বাড়ির সামনে বহু পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লালু-রাবড়ীর ছেলে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এখন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। কিছুদিন আগে জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমার বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে ফের লালুপ্রসাদের পার্টির সঙ্গে জোট গড়েছে। আর তারপরই সিবিআই এই হানা। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সূত্রে খবর, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করেছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে মূলত লালুর স্ত্রী রাবড়ী এবং তাঁদের দুই মেয়ে মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে।
ফেব্রুয়ারি মাসে এই মামলায় লালুপ্রসাদ, তাঁর স্ত্রী রাবড়ী দেবী ও আরও ১৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। তাতে লালুর দুই মেয়ে মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের নামও রয়েছে। সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে লালুদের জবাব তলব করা হয়।
সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জ়োনে চাকরি পাইয়ে দেন। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবারের সদস্যেরা এবং ঘনিষ্ঠ নেতারা। সেই মামলাতেই এই হানা বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও সম্প্রতি সিবিআই এবং ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন ৯ বিরোধী নেতানেত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তেজস্বীও। ঘটনাচক্রে এই চিঠি পাঠানোর পরেই তেজস্বীর মা রাবড়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। তাই এর পিছনে বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন মোদী বিরোধীরা।