কলকাতা – ডাক পেলেন অনুব্রত। কিন্তু ডাক পেলেন না সুখেন্দুশেখর রায়। তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ব্রাত্য হলেন রাজ্যসভার সাংসদ। পিছনে কি আরজিকর ইস্যু?
আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছে তৃণমূল। সেখানে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি ছাড়াও জাতীয় কর্মসমিতির সমস্ত সদস্যদের থাকার কথা। ইতিমধ্যেই সকলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে চিঠি।
এমনকী, যে অনুব্রত মন্ডল তিহার থেকে ছাড়া পাওয়ার আড়াই মাস কেটে যাওয়ার পরেও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাত পাননি, তিনিও পেয়েছেন চিঠি। কিন্তু জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য হয়েও ডাক পেলেন না সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কিন্তু কেন? আর জি কর ইস্যুতে বারবার সোচ্চার হওয়া, পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠাতেই কি দলের সঙ্গে এই দূরত্ব? উঠছে প্রশ্ন।
তবে ইঙ্গিতটা দিয়েছেন তৃণমূলেরই আরেক নেতা ফিরহাদ ববি হাকিম। রবিবার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নাম না করেই সুখেন্দু শেখর রায়ের আরজি কর সংক্রান্ত মন্তব্য প্রসঙ্গে সাফ বলেন, “দলে থাকলে দলীয় শৃঙ্খলা মানতে হবে। আরজি কর সংবাদমাধ্যমের চাপিয়ে দেওয়া ইস্যু ছিল। রাজ্যের কোনও দোষ ছিল না। তাতে যাঁরা সরকারের সমালোচনা করেছেন, দল তাঁদের পাশে থাকবে না।
প্রসঙ্গত, আরজিকর ইস্যুতে সুখেন্দুশেখর রায়কে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছিল। একবার নয়, বারবার। এমনকী দিল্লিতে গিয়েও আরজিকর নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার এই সাংসদ। রাত দখলের রাতে অভয়ার স্মৃতিতে রাজধানীর বুকে মোমবাতি জ্বালিয়ে ফেলেছিলেন চোখের জল। প্রশ্ন তুলেছিলেন সেই সময়ের কলকাতা পুলিশের প্রধানকে গ্রেফতার করা না নিয়েও।
তারপরই লালবাজারে সুখেন্দুশেখর রায়কে ডেকে পাঠানো হয়। উলটো গ্রেফতারির ভয়ে হাইকোর্টে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে কোনমতে রক্ষা পান তিনি। কিন্তু ওই পর্যন্তই। তারপর আর সুখেন্দুশেখর রায়কে আরজিকর নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। যদিও তাতে যে কাজের কাজ হয়নি, তা এবার বেশ বুঝিয়ে দিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।