রাঁচি – আজ, বুধবার বাংলার পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে। ৮১ আসনে ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফায় ৪৩টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভাগ্যপরীক্ষা হচ্ছে মোট ৬৮৩ জন প্রার্থীর। এই ঝাড়খণ্ডকেই এবার ‘পাখির চোখ’ করেছে বিজেপি।
প্রথম দফার ভোটে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন (সরাইকেলা), তাঁর পুত্র বাবুলাল (ঘাটশিলা), দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— মধু কোড়ার স্ত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ গীতা কোড়া (জগনাথপুর) এবং অর্জুন মুন্ডার স্ত্রী মীরা (পোটকা)। বিজেপির আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের পুত্রবধূ পূর্ণিমা।
ঝাড়খণ্ডে পদ্ম ফোটাতে তৎপর বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেও সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই ভোটের প্রচারলগ্নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বার বার ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে এই রাজ্যে। প্রচার সভা থেকে হেমন্ত সোরেন এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁরা।
বিজেপির অভিযোগ জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের সরকারের মদতে গত পাঁচ বছরে আদিবাসীদের জমি গ্রাস করছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। শুধু তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারি, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব বিজেপি।
বিজেপি নেতাদের মতে, ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের এক বিষয়ে বড় ভয়ঙ্কর মিল আছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। পশ্চিমবঙ্গ দিয়েই ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বেড়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমনিতে ঝাড়খণ্ডে বাঙালির সংখ্যা প্রচুর। সুতরাং এবারের নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকে বড় ইস্যু করেছে বিজেপি। তার ফল ভোটের ফলে গেরুয়া শিবির পায় কি না সেটা ভোটের ফলেই জানা যাবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ১৫ হাজার ৩৪৪ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিশেষ নজর মাওবাদী উপদ্রব এলাকায়। সেখানে বুথ পাহারা থেকে শুরু করে এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।