কলকাতা – পঞ্চায়েত ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিতে ফের ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে তৃণমূলে যোগদান সুমন কাঞ্জিলালের। সুমন কাঞ্জিলালের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দীর্ঘদিন ধরেই সুমনের দলবদলের চর্চা চলছিল। অবশেষে রবিবার তিনি ফুল বদল করলেন বলেই টুইট করে জানানো হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। বিধানসভায় বিজেপির ভাল বক্তাদের মধ্যে প্রথম সারিতে নাম রয়েছে সুমন কাঞ্জিলালের। সেই সুমন রবিবার কলকাতায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে এসে যোগদান করেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই যোগদান নিয়ে এখনও সুমন কাঞ্জিলালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই যোগদান যে বিজেপির অন্দরে বড় ধাক্কা, তেমনটাই বলছেন রাজনীতির কারবারিরা।
মাস দেড়েক আগে যখন একের পর এক ‘ডেডলাইন’ দিচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘দরজা খোলা’র কথা। বলেছিলেন “দরজা খুললে বিজেপি দলটাই আর থাকবে না।” এদিন সুমনের বিজেপি ছেড়ে যোগদানের পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন, তবে কি তৃণমূল দরজা খোলা শুরু করল?
এদিকে, সুমনবাবুর দলবদল নিয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, আমি ভাবতে পারছি না। বিধানসভায় সুমন আমার পাশে বসে। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আমি আর ও সব থেকে সরব ছিলাম। ও যে এরকম বিক্রি হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। তিনি বলেন, সুমনের বিজেপিতে কাজ করলে সমস্যা হয়ে থাকলে ও বিধায়ক পদ ছেড়ে দলবদল করতে পারত। কিন্তু যেভাবে ও দলবদল করল তাতে আমরা রাজনৈতিক নেতারা কর্মীদের কাছে কী জবাব দেব?
দিন কয়েক আগে শংকরবাবু তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে গুজব ছড়িয়েছিল। তা নিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘ওরা মানুষ চিনতে ভুল করেছে। আমরা ব্যবসা করার জন্য রাজনীতি করি না।’’