নয়াদিল্লি – আর কিছুদিন পরেই লোকসভা ভোট। ধীরে ধীরে শাসক-বিরোধী দুপক্ষেরই একে অপরকে আক্রমণ ধারাল হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোনও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর প্রতি বৈষম্যের অনুভূতি নেই ভারতীয় সমাজের কারও। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি মোদীর আরও দাবি, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচকরা যে দমন-পীড়নের অভিযোগ করে তা ভিত্তিহীন।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটা সম্পূর্ণ ইকোসিস্টেম রয়েছে। আমাদের দেশের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করছে। প্রতিদিনই সম্পাদকীয়, টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান, সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিয়ো, টুইটের মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ করে আসছে।’
সংবাদপত্রের তরফে ভারতের ২০ কোটি সংখ্যালঘুর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুসলিমদের উল্লেখ না করে মোদী পারসিদের অর্থনৈতিক সাফল্যের দিকে ইঙ্গিত করেন। পারসিদের তিনি ‘ভারতে বসবাসকারী ধর্মীয় ক্ষুদ্র-সংখ্যালঘু’ হিসেবে বর্ণনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যত্র নিপীড়নের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও তারা ভারতে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছে। এখানে তারা সুখে ও সমৃদ্ধিতে বসবাস করছে। এটাই প্রমাণ করে যে ভারতীয় সমাজে কোনও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর প্রতি বৈষম্যের কোনও অনুভূতি নেই।’
এদিকে ‘ভারত বিরোধী’ মনোভাবাপন্ন মানুষদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘১৯৪৭ সালে যখন ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে গিয়েছিল, তখন তারা অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিল। তবে আমরা সেই ভবিষ্যদ্বাণী এবং তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছি।’ এদিকে ফিনানিশ্যাল টাইমসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে বিজেপি নেতারা সাম্প্রতিককালে একাধিকবার মুসলিম বিরোধী বক্তব্য পেশ করেছেন। এদিকে মোদীর মন্ত্রিসভাতেও কোনও মুসলিম সদস্য নেই।