প্রয়াগরাজ: উত্তর প্রদেশে ফের লোমহর্ষক খুনের ঘটনার ফুটেজ প্রকাশ্যে এল। এবার গুলি করে মারা হল বিধায়ক খুনের ঘটনার প্রধান গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে। ২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পাল খুন হয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে। সেই মামলার সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। তাঁকেই শুক্রবার প্রয়াগরাজের প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে গুলি করে খুন করা হল।
প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীদের এহেন দাপাদাপির নিন্দা করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতির কথা শনিবার উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় জানিয়েছেন তিনি। মাফিয়ারাজের উদ্দেশে আদিত্যনাথের হুঙ্কার, “মাফিয়া কো মিট্টি মে মিলা দেঙ্গে।” অর্থাৎ “মাফিয়াদের মাটিতে মিশিয়ে দেব।”
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, উমেশ পাল এবং তাঁর দুই দেহরক্ষী একটি সাদা রঙের গাড়ি থেকে নামছিলেন। তখনই হঠাৎ করে এক আততায়ী পিছন থেকে এসে গুলি চালায় উমেশের ওপর। সেই আততায়ীকে ধরতে যান উমেশের দেহরক্ষী। তখন তাঁকেও গুলি করে আততায়ী। অপর এক জন দেহরক্ষীও আহত হয়েছেন।
Shootout in UP’s #Prayagraj. Umesh Pal, main witness in murder of BSP MLA Raju Pal, was killed and two armed police men in his security were injured (one critical). An assailant can be seen hurling crude bomb at the SUV while others opened indiscriminate fire.#UttarPradesh pic.twitter.com/EpdnKYInSS
— Siraj Noorani (@sirajnoorani) February 24, 2023
পুলিশ জানিয়েছে, এই গুলি চালনার সময় অপর এক আততায়ী বোমা ছুড়ছিল সেখানে। এর জেরে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। রাস্তায় থাকা অন্য মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। তাঁরা নিজেদের যানবাহন ছেড়ে যে দিকে পারে পালিয়ে গিয়েছিল। দোকানের ভিতর ঢুকেও সে সময় অনেকে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জীবনহানি হওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসন থেকে দু’জন পুলিশকর্মীকে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। ঘটনা নিয়ে প্রয়াগরাজের পুলিশ প্রধান রমিত শর্মা বলেছেন, “উমেশ পালের বাড়ির সামনে গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে আততায়ীরা ২টি বোমা ছুঁড়েছে। এব গুলি করে উমেশকে খুন করা হয়েছে। আমরা আট সদস্যের তদন্ত দল গঠন করেছি।”