মঙ্গলবার, ডিসেম্বর 3, 2024
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর 3, 2024
Homeভারতবার বার ধাক্কা মোদী ঘণিষ্ঠ গৌতম আদানিকে, ভারতীয় অর্থনীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়...

বার বার ধাক্কা মোদী ঘণিষ্ঠ গৌতম আদানিকে, ভারতীয় অর্থনীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয় তো

- Advertisement -

মুম্বই – দেশের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে আদানি গোষ্ঠী সরকারি আধিকারিকদের কোটি কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিল! এমনই অভিযোগ উঠেছে ভারতের ধনকুবের শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। এই কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছে মার্কিন আদালত।

অভিযোগ, ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে ভারত সরকারের আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন আদানিরা। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২২০০ কোটি টাকারও বেশি।

গৌতম আদানির পাশাপাশি তাঁর ভাইপো সাগরও এই মামলায় অভিযুক্ত। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের সিইও বিনীত জৈনও। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গৌতম ও সাগর দু’জনের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আমেরিকার প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন শিল্পপতি আদানি। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিপুল লগ্নির কথা ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু তার পরই আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় আমেরিকার বাজারে বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আদানি গ্রিন এনার্জি।

আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, যা থেকে ২০ বছরের ২০০ কোটি ডলার লাভ করা সম্ভব হত, তার জন্য সরকারি আধিকারিকদের ২২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। নিউ ইয়র্কের ইস্ট ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে বলা হয়েছে, ‘‘গৌতম আদানি, সাগর আদানি এবং বিনীত জৈনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। আমেরিকার লগ্নিকারীদের থেকে কোটি কোটি ডলার তোলার জন্য জালিয়াতি করেছেন তাঁরা। তাঁদের সংস্থার তরফে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।’’

ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা রাহুল গান্ধীর

মার্কিন মুলুকে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ আসতেই বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন। সেই চেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘ইন্ডি’ জোটের ‘প্রধান’ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, আদানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে তাতে আর কিছু হোক বা না হোক মোদির বিশ্বাসযোগ্যতা, ভাবমূর্তি ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে।

রাহুল গান্ধীর কথায়, “যারা দেশকে হাইজ্যাক করছে, সবার মুখোশ প্রকাশ্যে আনব। এর জন্য বিরোধী দলগুলো, নানা মানুষ একযোগে কাজ করছে। মোদিজির বিশ্বাসযোগ্যতা, ভাবমূর্তি ভেঙে চুরমার করে দিয়েছি। ধীরে ধীরে গোটা নেটওয়ার্ক প্রকাশ করে দেব।”

লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “আদানিকে সুরক্ষা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।” পাশাপাশি আদানিকে গ্রেফতারির দাবিও তোলেন তিনি।

কি বলছে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি

বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালবীয় এই ঘটনায় আমেরিকার ধনকুবের জর্জ সোরসের ‘চক্রান্তে’রও ইঙ্গিত দিয়েছেন। এক্স পোস্টে তাঁর মন্তব্য, ‘‘জর্জ সোরসের হাতের পুতুল হওয়াই এখন কংগ্রেসের পছন্দ।’’

বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘ঘুষের অভিযোগ তো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির দিকে। তৎকালীন কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্যের নামে আমেরিকায় অভিযোগ ওঠেনি। রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালেও রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন। পরে আদালত তাঁর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল।’’

ঘটনাচক্রে, গত বছর হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে কারচুপি করে তাদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়ানোর অভিযোগ তোলার পরেও সোরসের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি।

কী প্রতিক্রিয়া আদানি গোষ্ঠীর

আমেরিকার বিচারবিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। সমাজমাধ্যম এক্স হ্যান্ডল থেকে একটি বিবৃতি জারি করে সংস্থাটি জানিয়েছে, আদানি গ্রিন এনার্জির ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।

আদানি গোষ্ঠীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমেরিকার বিচারবিভাগই জানিয়েছে যত ক্ষণ না অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁদের নির্দোষ বলে গণ্য করা হবে। বিষয়টি নিয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে সমস্ত রকমের আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আদানি গোষ্ঠী সব সময় আইন মেনেই চলেছে। স্বচ্ছতাই সংস্থার মূল মন্ত্র বলেও ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

আদানি ঘুষকাণ্ডে রহস্যময় ব্যক্তি

এই ঘটনায় উঠে এসেছে এক রহস্যময় ব্যক্তির নাম। তাঁর নাম ‘ফরেন অফিশিয়াল #১’। কে এই রহস্যময় ব্যক্তি? তাঁর নাম আদৌ জানানো হয়নি। তবে এটা জানানো হয়েছে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন। আর তাঁকেই মোট ঘুষের অঙ্কের ১৭৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা বাড়ছে এই ব্যক্তিকে।

হুহু করে পড়ছে শেয়ারের দাম

আমেরিকার অভিযোগের তির গৌতমের দিকে পড়তেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দর হু হু করে নামতে থাকে। ভারতীয় শেয়ারবাজার থেকে এক ঘণ্টায় দু’লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ হারায় আদানি গোষ্ঠী।

অভিযোগের কারণে বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় স্টক পড়ল আদানি গ্রুপের ১১টি  ষ্টক। সব ব্যবসায় প্রায় ২০ প্রতি সেন্ট পর্যন্ত স্টকের ক্ষতি হয়েছে। উন্নয়ন তো হলই না উপরন্তু আদানি এনার্জি সলিউশান ২০ প্রতি সেন্ট কমে গেল। এছাড়াও অন্যান্য ষ্টক যেমন সাংহি ইন্ডাস্ট্রি (কমেছে ৭ সেন্ট), এসিসি (কমেছে ১২ সেন্ট), এনডিটিভি (কমেছে ১২ সেন্ট) এবং আদানি পাওয়ার (কমেছে ১৪ সেন্ট) এবং সম্পূর্ণভাবে প্রায় ১৯ সেন্ট পর্যন্ত কমেছে। 

আদানিদের ধাক্কা প্রভাব ফেলেছে ভারতীয় শেয়ার মার্কেটেও। এর আগে চিনের ‘ষড়যন্ত্রে’র কারণে ভারতীয় শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যার জেরে ফের ধস নামে ভারতীয় শেয়ার বাজারে। প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় অর্থনীতিকে এভাবে বারবার ধাক্কা দেওয়ার পিছনে কোনও আন্তর্জাতিক ‘খেলা’ নেই তো?

কেন নাক গলাচ্ছে আমেরিকা

তবে প্রশ্ন উঠছে, ভারতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠলেও তাতে কেন নাক গলাচ্ছে আমেরিকা? আমেরিকার আইন অনুযায়ী, সে দেশের বাজারের সঙ্গে যুক্ত, সে দেশে বিনিয়োগকারী বা সে দেশ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছেন, এমন কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেই মামলার তদন্ত চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। সে অভিযুক্ত যে দেশেরই নাগরিক হন না কেন! বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, ঋণ নিলে তাদের নিয়মও মেনে নিতে হবে। আদানি নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার কারণেই তিনি আমেরিকার আইনের আওতায় পড়ে গিয়েছেন।

আমেরিকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আদানি, তাঁর ভাগ্নে সাগর এবং অন্যেরা ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলার লাভের আশায় ওই প্রকল্প ‘হাতাতে’ চেয়েছিলেন এবং সেই জন্যই রাজি হয়েছিলেন ২২৩৭ কোটি টাকারও বেশি ঘুষ দিতে।

আমেরিকা জানিয়েছে, রঞ্জিত গুপ্ত এবং রূপেশ আগরওয়াল ‘আজ়ুরে পাওয়ার’ নামে সংস্থার সিইও এবং পরামর্শদাতা। আমেরিকার সরকারি আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিয়ান এনার্জি কোম্পানি’ এবং ‘আজ়ুরে পাওয়ার’ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ‘সোলার এনার্জি কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ (এসইসিআই)-কে ১২ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করার চুক্তি পেয়েছিল।

ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্ব ঠিক থাকবে তো

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দফতরের তরফে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, এই ঘটনার নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন নিবিড় সম্পর্কের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিনান পিয়ের সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করি ভারত-আমেরিকা দৃঢ় সম্পর্ক সমস্যা সমাধানের দিশানির্দেশক হবে।’’ আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগকে আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেশ করতে হবে জানিয়ে পিয়েরের মন্তব্য, ‘‘আমরাও বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন।’’

বার বার ‘টার্গেট’ গৌতম আদানি

তবে এ বারই প্রথম নয়। গত এক বছরে একাধিক বার গায়ে দুর্নীতির কালির ছিটে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতের এই ভূমিপুত্রের।

গত বছর মানে ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রথম বার শেয়ারে জালিয়াতির অভিযোগ আনে আমেরিকার সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তারা। সেখানে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারদর ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর কথা উল্লেখ করেছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই হু হু করে পড়তে থাকে আদানিদের যাবতীয় সংস্থার স্টকের দাম। মুহূর্তে শেয়ার বাজার থেকে উবে যায় তাদের ১০ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় বেশ কয়েক ধাপ নীচে নেমে যান গৌতম আদানি।

কিন্তু এর পরেও ২০২৩ সালের অগস্টে নতুন করে বোমা ফাটায় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আদানিদের টাকা সরানোর পিছনে সেবির চেয়ারম্যান মাধবী পুরী বুচের হাত রয়েছে বলে দাবি করে বসে এই আমেরিকান সংস্থা। এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টও করে তারা। ফলে নতুন করে শুরু হয় জলঘোলা। তদন্তের মুখে পড়েন বুচ।

ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক রাজনীতি

কাকতালীয় হলেও আদানিদের বিরুদ্ধে এধরনের লাগাতার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে যখন গৌতম আদানির সংস্থা বিশ্বমঞ্চে লাগাতার একের পর এক আন্তর্জাতিক সংস্থাকে টেক্কা দিয়ে টেন্ডার হাতিয়ে নিচ্ছে। আদানি পোর্টের মতো সংস্থা এরইমধ্যে বিশ্বের একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বন্দরকে অধিগ্রহণ করে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

সেই তালিকাতে ২০২৩ কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে জোমো কেনিয়াট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চুক্তিভিত্তিক অধিগ্রহণের কথা ছিল এই শিল্পগোষ্ঠীর। কিন্তু গত অক্টোবরে সেই চুক্তি বাস্তবায়নে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে দেশটির স্থানীয় একটি আদালত। ফলে পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে ধাক্কা খায় গৌতম আদানির ব্যবসা।

কেনিয়ার সঙ্গে ওই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে আগামী ৩০ বছরের জন্য নাইরোবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানা থাকত ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠীটির হাত।

পাশাপাশি অভিযোগ ওঠার কারণে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করে কেনিয়ার আদালত। ‘আদানি এনার্জি সলিউশন্‌স’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ পরিকাঠামো প্রকল্প গড়ে তোলার কথা ছিল পূর্ব আফ্রিকার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার। কিন্তু আদালতের রায়ে ধাক্কা খায় সেই চুক্তি।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠীকে ধাক্কা দিতেই অভিযোগের পর অভিযোগ নয়তো? কেননা, এখন পর্যন্ত আদানিদের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনওটাই প্রমাণিত হয়নি। অথচ, আদানিরা তাতে আর্থিকভাবে ধাক্কা খেয়েছেন। সেই সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের ভাবমূর্তিও।

আরও খবর
- Advertisment -

সবাই যা পড়ছেন

পছন্দের খবর