ঢাকা – ভোট বয়কটের ডাকা দিয়েছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদল ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি’ বা বিএনপি।শুক্রবার এনিয়ে রীতিমতো খোলাখুলি প্রচারও শুরু করে দিয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল। এই পরিস্থিতিতে ভোট বয়কটের প্রচারে নামা দলগুলিকে ‘সতর্কবার্তা’ দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা শাসকদল আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘‘জনগণ যাঁদের ভোট দেবেন, তাঁরা নির্বাচিত হবেন। অশান্তি করলে উপযু্ক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদেরও বিরোধী পক্ষের প্ররোচনায় ‘পা না দেওয়ার’ ক়ড়া নির্দেশ দেন তিনি। হাসিনা বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের কেউ সঙ্ঘাতে জড়ালেও রেহাই পাবেন না।’’
আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। ভোটপর্ব মিটলেই শুরু হবে গণনা। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং তাদের সহযোগী জামাতে ইসলামি-সহ কয়েকটি দল নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপি-সহ বিরোধীদলগুলি জানিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নেতৃত্বে কোনও সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হলে তারা অংশ নেবে না। তাদের দাবি, ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাপনাতেই একমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন‘ সম্ভব। সুতরাং খালেদা জিয়ার দলের হাসিনা সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা নিয়ে আপত্তি রয়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি শনিবার বলেন, ‘‘এই সাজানো নির্বাচন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না।’’
এরইমধ্যে বাংলাদেশের আমজনতার কাছে ভোট বয়কটের আবেদন জানিয়ে প্রচারে নেমেছে প্রধান বিরোধী দল ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি’ (বিএনপি)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল জাতীয় সংসদের আসন্ন নির্বাচনকে শাসক দল আওয়ামী লিগের তৈরি ‘ডামি বিরোধী দল’ এবং ‘ডামি প্রার্থী’দের নির্বাচন বলেছে। ফলে বিএনপির আন্দোলন ঘিরে ইতিমধ্যের রাজধানী ঢাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে।