নয়া দিল্লি: পাকিস্তান এখন চরম আর্থিক দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু এই পাকিস্তানই (Pakistan) কিভাবে দিনের পর দিন ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে তার প্রমাণ ফের পাওয়া গেল। জানা গিয়েছে, আলিম খান নামে এক ব্যক্তিকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর নানা গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। আলিম খান নামে ওই ব্যক্তি ভারতীয় সেনায় ওয়াশারম্যান ও সিগন্যালম্যান হিসাবে কাজ করতেন। তিনি চিন সীমান্ত এলাকার একটি জায়গায় মোতায়েন ছিলেন। এই জওয়ান সুযোগ বুঝে গোপনে পাকিস্তানি চরের (Pakistan ISI) কাছে গোপনে তথ্য় পাচার করত বলে অভিযোগ। এবার তাঁর বিরুদ্ধে সেনার তরফে কোর্ট মার্শালের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে পাকিস্তানের দিল্লির হাই কমিশনারের তরফে আবিদ হুসেন ওরফে নায়েক আবিদ নামে এক আইএসআই চরকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই আবিদ হুসেনের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল আলিম খানের। চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ভারতের সামরিক অপারেশন সংক্রান্ত নানা গোপন তথ্য জোগাড় করে আলিম খান তুলে দিয়েছিল আবিদ হুসেন ওরফে নায়েক আবিদের হাতে। এবং শুধু মাত্র ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে। সেই তথ্য ঘুরপথে চিনেও পৌঁছে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন ভারতের নিরাপত্তা আধিকারিকদের একাংশ।
মাঝে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। আর তারপরই ভারত ও চিন দু‘দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর (LAC) বরাবর সেনা বাড়াতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সীমান্তে কী ধরনের রণকৌশল সাজাচ্ছে তা চিনের জানা খুবই প্রয়োজন ছিল। স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে ভারত চিনের থেকে কোনও অংশে কম যায় না। আর তাছাড়া পাহাড়ি এলাকায় স্যাটেলাইট ইমেজে তেমন তথ্য যোগাড় করতে পারছিল না চিন। মনে করা হচ্ছে, এরই সুযোগ নিয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান। একদিকে ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য চিনের হাতে তুলে দিলে লাল ফৌজ যেমন খুশি হবে তেমনই চরের পিছনে খরচের নামে বাড়তি কিছু দালালিও যোগাড়ের চেষ্টায় ছিল পাকিস্তান।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সেই প্ল্যান ধরে ফেলে ভারত। নিরাপত্তা বাহিনী খুঁজে বের আলিম খান নামে ওই জওয়ানকে। যে কি না পাকিস্তানকে চিন সীমান্তের গোপন তথ্য যোগাচ্ছিল। আলিম খান যেহেতু সেনার সার্ভিস রুল ভঙ্গ করেছেন, সুতরাং তাকে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তেই হবে।