কলকাতা – সন্দেশখালির তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মারধর তো খেয়েছেনই। সেই সঙ্গে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ বহু জিনিসই খোয়াতে বাধ্য হয়েছেন ইডির অফিসারেরা। ইডি সূত্রে খবর, মারমুখী জনতার নাগাল এড়িয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে কোনও মতে বেঁচে ফিরতে পারলেও সন্দেশখালিতে চুরি গিয়েছে ইডির ল্যাপটপ, মোবাইল এমনকি, একটি ব্যাগও।
এই সমস্ত জিনিস কখন কী ভাবে বেহাত হল সে ব্যাপারে এখনও ধন্ধে ইডি। কারণ সেই সময় যে ভাবে তাঁদের ঘিরে ধরে আক্রমণ করা হচ্ছিল, তখন নিজেদেরই বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেনই বা ইডির ল্যাপটপ মোবাইল সরিয়ে ফেলতে চাইবেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা?
তল্লাশি অভিযানে গেলে সাধারণত তদন্তের সুবিধার্থেই কিছু বাড়তি মোবাইল, ল্যাপটপ নিয়ে যেতে হয় ইডির গোয়েন্দাদের। তা ছাড়া ব্যক্তিগত মোবাইল তো থাকেই। ইডি সূত্রে খবর, এমনই একটি ল্যাপটপ গায়েব হয়েছে। উধাও হয়েছে ৪-৫টি মোবাইল ফোনও।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে, যেহেতু বাংলার রেশন দুর্নীতির তদন্তের সূত্রে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। ইডির সন্দেহ, নিশ্চয়ই সন্দেশখালিতে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা প্রমাণ রয়েছে যার ধারে কাছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের পৌঁছতে দিতে চান না ওই তৃণমূল নেতা বা তাঁর অনুগামীরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের সন্দেশখালির বা়ড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন পাঁচ ই়ডি অফিসার। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। কিন্তু তৃণমূল নেতার বন্ধ বাড়ির দরজা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীদের একাংশ। নিজেদের শাহজাহানের অনুগামী বলে দাবি করা এই গ্রামবাসীরা এর পর চড়াও হন ওই ইডি আধিকারিকদের উপর।
ইডির অনুমান, এই ঘটনাটি যখন ঘটছে, তখন ওই দলের মধ্যেই থাকা কেউ ইডির ল্যাপটপ, মোবাইল এবং ব্যাগ সরিয়ে থাকবে। কারণ সন্দেশখালি থেকে ফেরার সময় আর এই সমস্ত জিনিস খুঁজে পাননি ইডির কর্তারা। আর সেই সময় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে জিনিসগুলি খোঁজার জন্য অপেক্ষা করার সুযোগও ছিল না।