স্পোর্টস ডেস্ক – দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন শ্রেয়স। রঞ্জি ট্রফিতে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন ডানহাতি ব্যাটার। যেন নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর তিনি। মুম্বইয়ের শরদ পওয়ার ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ওড়িশার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করলেন শ্রেয়স। তার আগে গত মাসেই প্রায় তিন বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়স। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে। তার পরের ইনিংসেই ফের সেঞ্চুরি করলেন। সবচেয়ে বড় কথা, ওড়িশার বিরুদ্ধে কার্যত ওয়ান ডে ক্রিকেটের আদলে খেলে ১০১ বলে সেঞ্চুরি করলেন শ্রেয়স। সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটা তাঁর ১৫তম সেঞ্চুরি। পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি শ্রেয়স আইয়ারের।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর চ্যাম্পিয়ন টিমের ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। যদিও ক্যাপ্টেনকে রিটেন করেনি কেকেআর। এর নেপথ্যে দর না মেলাই কারণ বলে উঠে এসেছে। আইপিএলের মেগা অকশনে উঠতে চলেছেন শ্রেয়স। একই সঙ্গে তাঁর লক্ষ্য ভারতীয় টেস্ট টিমেও কামব্যাক করা। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ বার টেস্ট খেলেছিলেন। চোটের কারণে পুরো সিরিজে খেলা হয়নি। এরপর থেকে ওয়েটিং লিস্টেই রয়েছেন। রঞ্জি ট্রফিতে গত ম্যাচে ব্যক্তিগত কারণে খেলেননি। ওড়িশার বিরুদ্ধে ফিরেই বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। যেন জোড়া বার্তা দিলেন শ্রেয়স আইয়ার।
তার আগে ব্যাট হাতে এই ম্যাচে সফল আরও এক মুম্বই তারকা, অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। ওড়িশার বিরুদ্ধে তিনিও প্রায় তিন অঙ্কের স্কোরে পৌঁছেই গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৯২ রান করে ফেরেন গত মরশুমে কেকেআরের জার্সিতে নজর কেড়ে নেওয়া তরুণ। রঞ্জি কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থামতে হয় তাঁকে। অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর মুম্বই ওপেনার আয়ূষ মাত্রেও মাত্র ১৮ রানে ফেরেন। তবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শ্রেয়স ও সিদ্ধেশ লাড। দেড়শোরও বেশি রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছেন দুজনে। অবিচ্ছেদ্য চতুর্থ উইকেটে।
ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ৩৮৫/৩। লাড ১১৬ ও শ্রেয়স ১৫২ রানে ক্রিজে রয়েছেন। ১৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসে যেন সকলকেই বার্তা দিয়ে চেয়েছেন শ্রেয়স। তাঁকে ছেঁটে ফেলেছে কেকেআর। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টের পর থেকে পাঁচদিনের ক্রিকেটে জাতীয় দলে আর দেখা যায়নি শ্রেয়সকে। ২০২১ সালে কানপুরে যিনি নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তার তিন বছর পর পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন। দলীপ ট্রফিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ৬ ইনিংসে মাত্র ১৫৪ রান করেছিলেন শ্রেয়স। তবে রঞ্জিতে সম্পূর্ণ অন্য ফর্মে।